রাশিয়াভিত্তিক অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা ‘ক্যাসপারস্কি’র পণ্য ব্যবহারে সতর্ক থাকার কথা বলেছে জার্মানি। ‘ফেডারেল অফিস ফর ইনফর্মেশন সিকিউরিটি (বিএসআই)’ এক বিবৃতিতে বলেছে, নিজ দেশের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুপ্তচরবৃত্তি বা সাইবার হামলায় অংশ নিতে বাধ্য করতে পারে রাশিয়ার সরকার। বিএসআই-এর সতর্ক বার্তা পেয়ে ক্যাসপারস্কির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে আইনরাখট ফ্র্যাঙ্কফুর্ট ফুটবল ক্লাব।
অবশ্য বাজারে প্রচলিত ক্যাসপারস্কির কোনো পণ্য বা সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ তোলেনি বিএসআই। ইউক্রেইনে সামরিক আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ন্যাটো এবং জার্মানির উদ্দেশ্যে রাশিয়ার হুমকি-ধামকি সাইবার আক্রমণের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। পরামর্শ দিয়েছে ক্যাসপারস্কির অ্যান্টিভাইরাস বিকল্প সফটওয়্যার দিয়ে প্রতিস্থাপনের।
We welcome the start of negotiations to resolve the current situation in Ukraine and hope that they will lead to a cessation of hostilities and a compromise. We believe that peaceful dialogue is the only possible instrument for resolving conflicts. War isn’t good for anyone.
— Eugene Kaspersky (@e_kaspersky) March 1, 2022
এর জাবাবে ক্যাসপারস্কির দাবি, “রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে” ওই সতর্ক বার্তা জারি করা হয়েছে এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে “রাশিয়া বা অন্য কোনো সরকারের সঙ্গে কোনো যোগসূত্র নেই”।
তবে সপ্তাহ দুয়েক আগে “আমরা বিশ্বাস করি যে শান্তিপূর্ণ আলোচনাই দ্বন্দ্ব নিরসনের একমাত্র উপায়। যুদ্ধ কারো জন্যই ভালো নয়”- এমন টুইট করে কড়া সমালোচনার মুথে পড়েছিলেন ক্যাসপারস্কি প্রতিষ্ঠাতা ইউজিন ক্যাসপারস্কি।
প্রতিত্তুরে প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান ‘ট্রেন্ডমাইক্রো’র ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক ফার্গুসন টুইট করেছিলেন, “আগ্রাসনকে ‘পরিস্থিতি’ আখ্যা দিয়ে ‘আপোস’ করতে বলার চেয়ে চুপ থাকাই ভালো ছিল।”
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ক্যাসপারস্কির সফটওয়্যার নিষিদ্ধ করে আইনে স্বাক্ষর করেছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ওই একই বছরেই ক্যাসপারস্কির অ্যান্টিভাইরাস জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে সরকারের সকল বিভাগে সতর্ক বার্তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। এর পর ২০১৮ সালে নিজস্ব ডেটা প্রসেসিং অবকাঠামো সুইজারল্যান্ডে সরিয়ে নেয় ক্যাসপারস্কি।