উড়তে প্রস্তুত বিশ্বের প্রথম যাত্রীবাহী সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক প্লেন। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ পরেই এই বিমানের প্রথম ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলের একটি এভিয়েশন কোম্পানি। সিয়াটেলের উত্তরে আর্লিংটন মিউনিসিপ্যাল বিমানবন্দরে গত সপ্তাহে এটির ইঞ্জিন পরীক্ষার করা হয় বলে জানিয়েছেন এভিয়েশনের প্রধান নির্বাহী ওমর বার-ইয়োহায়ের।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দিয়েছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
বৈদ্যুতিক গাড়ি বা সেল ফোনের ব্যাটারি প্রযুক্তির মতো একই প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয়েছে প্লেনটি। মাত্র ৩০ মিনিট চার্জ দিলেই নয়জন যাত্রী নিয়ে এক ঘণ্টায় ৪৪০ নটিক্যাল মাইল উড়তে সক্ষম হবে এটি। এ সময়ে প্লেনটির গতি হবে ঘণ্টায় ২৫০ কেটিএস বা ২৮৭ মাইল প্রতি ঘণ্টায়। একটি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্সের গতি ঘণ্টায় ৫৮৮ মাইল। আশা করা হচ্ছে, আগামী সাত থেকে ১০ বছরের মধ্যে এ ধরনের প্লেন ২০ থেকে ৪০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম হবে।
জানা গেছে, প্লেনটির প্রোটোটাইপ আত্মপ্রকাশ করে ২০১৯ সালে। গত ডিসেম্বর থেকে কম-গতির ট্যাক্সি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এটি। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি উচ্চ গতির ট্যাক্সি পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্লেনটির বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে।
২০২২ সালের আগেই ফ্লাইট শুর করতে চেয়ে ছিল কোম্পানিটি। তবে বছরের শেষে প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিমে খারাপ আবহাওয়ায় পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত হয়।
প্লেনটির তিনটি প্রোটোটাইপ সংস্করণ তৈরি করেছে কোম্পানি। এরমধ্যে একটি যাত্রীবাহী প্লেন, দ্বিতীয়টি নির্বাহী সংস্করণ ও তৃতীয়টি পণ্য পরিবহনের জন্য কার্গো ভার্সন। যাত্রীবাহী প্লেনটিতে দুইজন পাইলটসহ নয়জন যাত্রীর আসন রয়েছে। তাছাড়া এতে ৮৫০ পাউন্ড পর্যন্ত মালামাল রাখার জায়গা রয়েছে।