চায়না টেলিকমের পর যুক্তরাষ্ট্রে নিষেদ্ধের তালিকায় যুক্ত হলো চায়না ইউনিকমের নাম। জাতীয় নিরাপত্তা এবং গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কাকে কারণ দেখিয়ে চীনের এই টেলিকম জায়ান্টকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টেলিকম পরিষেবা সরবরাহ বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন’ (এফসিসি) বলছে, চীনা প্রতিষ্ঠানটির আমেরিকান ইউনিটের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমোদন বাতিল করার পক্ষে সর্বসম্মত ভোট মিলেছে।
এর আগে অক্টোবরে চীনা অপর প্রতিষ্ঠান চায়না টেলিকমের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার লাইসেন্স বাতিল হয়।
এফসিসি চেয়ারম্যান জেসিকা রোজেনওরেল এক বিবৃতিতে বলেন, “দিন দিন প্রমাণের স্তুপ জমছে এবং এর ফলে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে যে, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার জন্য একটি মূর্তিমান হুমকি।”
বিবিসিকে পাঠানো এক বিবৃতিতে চায়না ইউনিকম বলেছে, তাদের আমেরিকান ইউনিটের “গত দুই দশকে সংশ্লিষ্ট মার্কিন আইন ও প্রবিধান মেনে চলার এবং গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে টেলিযোগাযোগ সেবা ও সমাধান দেওয়ার ভালো রেকর্ড রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও উল্লেখ করে, “চায়না ইউনিকম (হংকং) লিমিটেড পরিস্থিতির উন্নয়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।”
তবে ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে বিবিসির কাছ থেকে মন্তব্য করার অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
অবশ্য গত নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষর করা এক আইন নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে বিবেচিত কোনো প্রতিষ্ঠানকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন টেলিকম যন্ত্রাংশ লাইসেন্স পাওয়ার পথ বন্ধ করে দিয়েছে।
‘সিকিওর ইকুইপমেন্ট অ্যাক্ট’ নামে ওই আইনের অধীনে, হুমকি হিসাবে বিবেচিত প্রতিষ্ঠানগুলির আবেদন এফসিসি’র পর্যালোচনা করা উচিত নয়। এর মানে হচ্ছে, হুয়াওয়ে, জেডটিই এবং আরও তিনটি চীনা প্রতিষ্ঠানের যন্ত্রাংশ মার্কিন টেলিকম নেটওয়ার্কে ব্যবহার করা যাবে না।
এ ছাড়াও গত নভেম্বরে মার্কিন সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্রনীতির উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকায় আরও এক ডজন চীনা কোম্পানির নাম যোগ করেছে।