উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে হস্তান্তরের জন্য দায়ের করা আপিল আবেদনে জয় লাভ করেছে মার্কিন সরকার। শুক্রবার ব্রিটেনের উচ্চ আদালতের রায়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আদালতের রায় কার্যকর হলে শিগগিরই মার্কিন বিচার ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে চলেছেন অ্যাসাঞ্জ।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের অনুমতি দিতে অস্বীকৃতি জানান ব্রিটেনের এক নিম্ন আদালত। এক দশক আগে গোপন মার্কিন সামরিক নথি ফাঁসের ‘অপরাধে’ উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতাকে সাজা দিতে চাইছে আমেরিকা।
নিম্ন আদালতের বিচারক ভ্যানেসা ব্যারেইটসার বলেন, বর্তমানে যুক্তরাজ্যের কারাগারে বন্দি অ্যাসাঞ্জকে আমেরিকায় পাঠালে তিনি মার্কিন জেলখানার বিরূপ পরিবেশে আত্মহত্যা করতে পারেন।
মার্কিন আইনজীবী জেমস লুইস অবশ্য দাবি করেছেন, ‘অ্যাসাঞ্জের গুরুতর ও স্থায়ী মানসিক সমস্যার ইতিহাস নেই। তিনি এতোটাও অসুস্থ নন যে নিজের ক্ষতি করবেন।’
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির ১৭টি অভিযোগ এনেছেন মার্কিন আইনজীবীরা। এর মধ্যে একটি অভিযোগ হচ্ছে, হাজার হাজার গোপন সামরিক ও কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মাধ্যমে কম্পিউটারের অপব্যবহার করা।
এসব অভিযোগের দায়ে অ্যাসাঞ্জের সর্বোচ্চ ১৭৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। যদিও মার্কিন আইনজীবী বলছেন, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতাকে এই অভিযোগে সর্বোচ্চ ৬৩ মাস জেল খাটতে হবে।
ডিবিটেক/বিএমটি