কয়েক দিন আগেই নাসা ঘোষণা দেয়, ২০২৪ সালের পর মহাকাশে আর কাজ করবে না আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। ধীরে ধীরে কমছে এই স্পেস স্টেশনের সক্ষমতা। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি বড় ফাটল দেখা গেছে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের রাশিয়ার অংশে। এতে আতঙ্কে পড়েছেন ভেতরে থাকা ১১ নভোচারী। সেখানে আছেন- আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, রাশিয়ার ‘রসকসমস’, জাপানের ‘জাক্সা’ ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (এসা) মহাকাশচারীরা।
ফাটলগুলো আরো বিপজ্জনক পর্যায়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার হিউমেন স্পেস ফ্লাইট প্রোগ্রামের প্রকৌশলী ভ্লাদিমির সলভিয়ভ।
তার শঙ্কা, তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নেয়া না হলে জায়রা মডিউলে দেখা দেওয়া ওই ফাটল, ছড়িয়ে পড়তে পারে মহাকাশ স্টেশনের অন্য স্থানেও। এমনকি সেই সব জায়গার বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়তে পারে মহাকাশেই, যা মহাকাশে আবর্জনা হয়ে, বিপদ ঘটাতে পারে; বহু মহাকাশযান ও পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা অন্যান্য বহু উপগ্রহেরও।
রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার দাবি, ওই সব ফাটল দিয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী মহাজাগতিক রশ্মি এবং মহাজাগতিক বিকিরণ ঢুকে গেলেই বিপদ। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩৭০ কিলোমিটার ওপরে পৃথিবীর কাছের কক্ষপথে থাকা মহাকাশ স্টেশনে আছেন ১১ জন মহাকাশচারী।