২০১৭ সাল থেকে ফেসবুক ডেস্কটপে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের জন্য হার্ডওয়্যার সিকিউরিটি কী ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে আসছে। অন্যদিকে, মোবাইলের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে হয় অথেনটিকেশন অ্যাপ কিংবা এসএমএস কোডের উপর নির্ভর করতে হয়। তবে সেটির পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া ডেস্কটপের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএসে হার্ডওয়্যার সিকিউরিটি কী সুবিধা চালু হয়েছে।
সিকিউরিটি কী হলো ছোট এবং পেনড্রাইভ আকারের একটি ডিভাইস যা সাধারণা কম্পিউটার অথবা মোবাইল ডিভাইসে লাগিয়ে অনলাইন সেবা কিংবা অ্যাপে পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। এমনকি এই কী কোনো হ্যাকার চুরি কিংবা ছিনতাই করে নিলেও ব্যবহারকারীর অনলাইন ডেটা নিরাপদ থাকে।
রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অ্যাক্টিভিস্টসহ যেমন ব্যক্তি সচরাচর হ্যাকারদের টার্গেটে থাকেন তাদেরকে এটি ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। ইউবিকো নামের এক কোম্পানি আইফোন ও অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের জন্য এই সিকিউরিটি কী তৈরি করেছে। গুগলও একই পথে গেছে।
আপনার যখন সিকিউরিটি কী থাকবে তখন এটি ফেসবুকে ব্যবহার খুবই সহজ করা হয়েছে। সেটিং মেন্যু থেকে সিকিউরিটি অ্যান্ড লগইন সেকশনে গিয়ে চালু করে নিন। আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে নতুন ডিভাইস কেনার দরকার নেই। আপনার পুরাতন ডিভাইস থাকলে সেটি দিয়ে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু করতে পারবেন।
ডিবিটেক/বিএমটি