অফিসে ফিরে যাওয়া নিরাপদ হওয়ার পরেও কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা আরো শিথিল করেছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
কোম্পানির একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার এই খবর দিয়েছে সিএনবিসি।
এর আগে দ্য ভার্জে প্রকাশিত নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ৫০ শতাংশের কম কর্মীকে দূরবর্তী স্থান থেকে অফিস করার অনুমতি দেবে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান ক্যাথিন হোগান বলেন, গত রোববার এই ব্যবস্থাপকদের কাছে এ বিষয়ক নতুন নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
নির্দেশনায়,কর্মীদেরকে তাদের কাজের অর্ধেক সময় বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যারা কর্মঘণ্টার অর্ধেকের বেশি সময় ধরে কাজ করতে চান সেই সব ব্যবস্থাপকদের জন্য এই সুযোগটি বিবেচনা করা হয়েছে। রয়েছে খন্ডকালীন কাজ করার সুবিধা।
আর কর্মীরা তাদের ব্যবস্থাপকদের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে পুরোপুরি হোম অফিস করতে পারবেন। এমনকি তার অবস্থানও বদলাতে পারবেন। অবশ্য সে ক্ষেত্রে ভৌগলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কর্মীদের বেতন সমন্বয় করা হবে।
এর আগে মাইক্রোসফট সর্বশেষ এর মার্কিন কর্মীদের জানিয়েছিলো, তারা অন্তত জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত দূর থেকে কাজ করবে। এবার যুক্তরাজ্যের কর্মীরাও এই সুযোগ পাবে।
এখন প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র বলছেন, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত হোম অফিস সুবিধা অব্যহত রেখে কর্মীদের সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই একটি গাইড লাইন শেয়ার করা হয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে কর্মীরা যেভাবে কাজ করছে তা বিকশিত করা। এটা কোম্পানির সংস্কৃতি ও ব্যবসায়িক চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক কর্মীর ইনপুট ও উপাত্ত কাজের স্বকীয়তাকে সমর্থন এগিয়ে নেবে।
কাজের এই নতুন নীতিকে “হাইব্রিড মডেল” হিসেবে উল্লেখ করেছে মাইক্রোসফট। এটি টুইটার যে মডেল চালু করেছে তার মতো নয়। তবে ফেসবুকের সাম্প্রতিক রিমোট ওয়ার্ক পলিসির কাছাকাছি।
যেমনটা গত মে মাসে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ কর্মচারী দূর থেকে কাজ করবে।
অবশ্য মাইক্রোসফটের ডাটা সেন্টার ব্যবস্থাপনার মতো কাজে এখনও কর্মীদের ব্যক্তিগতভাবে কর্মস্থলে যাওয়ার প্রয়োজন হবে। তাই প্রত্যেক কর্মচারীর ক্ষেত্রে নতুন নীতিটি ভিন্নভাবে প্রযোজ্য হবে। এটা নির্ভর করবে তাদের কাজের প্রকৃতির ওপর।
সাম্প্রতিক তথ্য প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট এক লাখ ৬৬ হাজারের বেশি কর্মী এখন মাইক্রোসফটে কর্মরত আছেন।