ব্যক্তিগত মহাকাশযান স্পেস এক্স-এ চেপে মহাকাশ অভিযাত্রায় পাড়ি জমালেন নাসার দুই নভোচারী। ফ্যালকন-৯ রকেটে চেপে গ্রিনিচমান সময় ১৯টা ২২ মিনিটে শুরু হয় কক্ষপথের এই ঐতিহাসিক অভিযাত্রা। বাংলাদেশ সময় রোববার সকালে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ প্যাড থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাত্রা শুরু করেন তারা। গন্তব্যে পৌঁছতে সময় লাগবে ১৯ ঘণ্টা।
আর এর মাধ্যমে দুই দশকের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হলো পৃথিবী। নয় বছর আগে শাটলগুলি অবসর নেওয়ার পর এটিই প্রথম কোনো আমেরিকান ক্রুর মার্কিন অঞ্চল থেকে মহাকাশ যাত্রা।
এই যাত্রায় নভোচারী রবার্ট বেনকেন ও ডগলাস হার্লে কেবল একটি নতুন ক্যাপসুল সিস্টেমই ট্রিলিং করছে না, তারা নাসার জন্য একটি নতুন ব্যবসায়িক মডেলও শুরু করছেন। তাই আগামী দিনগুলোতে মাহাকাশে যেতে আর নিজস্ব যান ব্যবহার করতে হবে না নাসা-কে। তারা ভাড়া করতে পারবেন স্পেসএক্সের “ট্যাক্সি”।
এদিকে নিজের কোম্পানির যানে চেপে মহাকাশ যাত্রার এই দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত মাস্ক। উড্ডয়নের মাহেন্দ্রক্ষণে আবেগে উচ্ছ্বসিত হয়ে লাফিয়ে উঠেন তিনি।
উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, “আমি মনে করি এটি এমন একটি উপলব্ধি যা মানুষের হৃদয় থেকে সঞ্চারিত হয়। যার মধ্যে অনুসন্ধানের চেতনা রয়েছে তিনি এই শক্তির নাগাল পাবেন। এবং এর মাধ্যমে অন্তর্নিহিত শক্তির বহিঃপ্রকাশ করলো যুক্তরাষ্ট্র।”
“অতীত নেতারা আমাদের মহাকাশচারীকে কক্ষপথে পাঠানোর জন্য আমেরিকা বিদেশী দেশগুলির করুণায় ফেলেছিলেন” যোগ করে তিনি আরো বলেন, “এখন আর নয়, আজকে আমরা আবারও গর্বের সাথে আমেরিকান রকেটে আমেরিকান নভোচারীদের যাত্রা শুরু করেছি – বিশ্বের সেরা – এখন থেকেই আমেরিকান মাটিতে।”