স্বাস্থ্য সেবা ও গেম খেলার সুবিধা যুক্ত করে এবার নরম ও পরিবাহী ইলেকট্রোডকে ই-চশমায় যুক্ত করেছেন কোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা বা ভার্চুয়াল রিয়ালিটি অ্যাপ্লিকেশনগুলোয় ব্যবহৃত হবে এই তারহীন প্রযুক্তির স্ব-শক্তিচালিত, আবহাওয়ার সঙ্গে রঙ পরিবর্তনশীল এই রোদ চশমা।
চশমাটি ব্যক্তির মস্তিষ্কের তরঙ্গ ও শরীরের নড়াচড়া শনাক্ত করতে পারবে। পাশাপাশি একই চশমা দিয়ে চোখের নড়াচড়ার মাধ্যমে ভিডিও গেম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষক দলের প্রধান যৌথ গবেষণা দলটিতে মেকানিকাল এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জুনসুক রোহ।
এই গবেষণায় তার সঙ্গী ছিলেন পোস্টটেক কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক জাহেয়াক জাং ও আইজান ইসমুখানোভা এবং কেএআইএসটি’র যান্ত্রিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ইনকিউ পার্ক। চশমাটির ফ্রেম তৈরিতে তারা ব্যবহার করেছেন থ্রিডি প্রিন্টার। এরপর সে ফ্রেমে কান ও চোখের কাছে নমনীয় ইলেকট্রোড যুক্ত করেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্ক বা চোখ থেকে বৈদ্যুতিক সংকেত পরিমাপকারী ডিভাইসটি মৃগী রোগ এবং ঘুমের সমস্যা শনাক্ত করার পাশাপাশি হিউম্যান-মেশিন ইন্টারফেসগুলোতে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তবে এই পরিমাপ পেতে ত্বক এবং সেন্সরের মধ্যে একটি স্থির শারীরিক যোগাযোগ প্রয়োজন, যা অনমনীয় ডিভাইসগুলোতে পাওয়া কঠিন। এতে মোশন বা ইউভি সেন্সিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে তারহীন সার্কিট। যখন সেন্সরে নির্দিষ্ট ঘনত্বের অতি বেগুনি রশ্মি (আলট্রা ভায়োলেট রে বা ইউভি লাইট) ধরা পড়ে, তখন লেন্স রং পরিবর্তন করে সানগ্লাস বা রোদচশমার কাজ করে। আর তাদের উদ্ভাবিত চশমাটি ইসিজি করার পাশাপাশি, বাতাসের মান এবং দূরত্বও পরিমাপ করতে পারে।