ইতোমধ্যে রোগী শনাক্তের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ফেসবুক ও গুগলের করোনাভাইরাস ট্র্যাকিং ম্যাপস। আর এই ম্যাপিং ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমেই ভবিষ্যতে মহামারি সম্পর্কে পূর্বাভাস দিতে পারবে এই টেক প্রতিষ্ঠান দুটি।
যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগী মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকদের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে এই দাবি করেছে ডিজিটাল ট্রেন্ডস।
গবেষকদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে অনলাইনটি জানিয়েছে, গুগল ও ফেসবুকের পরিচালিত কোভিড-১৯ সার্ভেতে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করছে। যেখানে ইউজারকে তার ও পরিবারের করোনাভাইরাসের উপসর্গ সংক্রান্ত তথ্য দিতে হয়। এভাবে সার্ভের জন্য তথ্য ও ইউজারের ডেমোগ্রাফিক ডেটার ভিত্তিতে ডেটাবেজ তৈরি হচ্ছে কোম্পানিগুলোর সার্ভারে।
সূত্রমতে, প্রতি সপ্তাহে ফেসবুকে ১০ লাখ এবং গুগলে গত সপ্তাহে প্রতিদিন ৬০ হাজার ইউজার অংশগ্রহণ করে এসব তথ্য দিয়েছে।
তাই ফেসবুক ও গুগলে সংগৃহীত ডেটা থেকে এই রোগের সাদৃশ্য অন্য কোনো রোগের উপসর্গের সঙ্গে মিলে গেলে আগে থেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতরকে সতর্ক করতে পারবে। এরকম পূর্বাভাস কাজে লাগিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য অধিদফতরগুলো যেকোনো মহামারিতে হয়ত মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে পারবে এবং পূর্ব প্রস্তুতি নিতে পারবে।