সদ্য গত হওয়া ২০১৯ সালে ভারতে মোবাইল ডিভাইস থেকে ৮৯ শতাংশ ব্যবহারকারী পর্নো দেখেছেন। এই তথ্যটি প্রকাশ করেছে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের একটি বিনোদনের সাইট। সাইটটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের তুলনায় মোবাইল ডিভাইসে পর্নো দেখার প্রবণতা বেড়েছে ৩ শতাংশ। হিসাব অনুযায়ী, বছর বছর এক শতাংশ হারে বাড়ছে।
এদিকে মোবাইল অ্যানালাইটিকস সাইট অ্যাপ অ্যানির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরে শীর্ষ ডাউনলোড হওয়া ১০০ অ্যাপের মধ্যে কোনো পর্নোগ্রাফি অ্যাপ নেই। অর্থাৎ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখনো ব্রাউজার থেকে ওই ধরনের সাইটে ঢোকেন। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন অ্যান্ড্রয়েড ওএস।
প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের বিনোদনের ওই সাইটের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর তাদের সাইটে মোবাইল ডিভাইস থেকে আসা দর্শকের সংখ্যা ৭৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এই হার ২০১৮ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
কনটেন্ট দেখার ক্ষেত্রে ভারতের পরই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখান থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের জনপ্রিয় ওই সাইটটিতে ঢোকার হার ৮১ শতাংশ। এরপর রয়েছে ব্রাজিল। এ ছাড়া জাপান ও যুক্তরাজ্যের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা গত বছর ওই সাইটে ঢুকেছেন।
২০১৩ সালে পর্নোগ্রাফির সাইটে দর্শক ঢোকার হার ছিল মাত্র ৪০ শতাংশ। সাইটটির বার্ষিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, মোবাইল ডিভাইস থেকে এ ধরনের সাইটে ঢোকার ট্রেন্ড তৈরি হয়ে গেছে।
ভারতে মূলত কম দামের স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধি ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের ফলে ব্যবহারকারীরা এসব কনটেন্টের দিকে ঝুঁকছেন। ভারতে ৪৫ কোটির ওপর ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন। দেশটিতে এখন প্রতি মাসে গড়ে ৯.৮ জিবি ডেটা ব্যবহার করছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। ২০২৪ সাল নাগাদ এর হার দ্বিগুণ হবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
তথ্যমতে, বৈশ্বিক পর্যায়ে মোবাইল ডিভাইস থেকে প্রতি চারজনের অন্তত তিনজনই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের বিনোদনের সাইটে ঢোকেন। এ ক্ষেত্রে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপের মতো ডিভাইসগুলো এখন পিছিয়ে পড়েছে।