টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কোনো মানচিত্র তৈরি করা হয়নি। ভাঙা জাহাজের কিছু অংশ বোঝা গেলেও, আশপাশের ধ্বংসাবশেষের ছবি এখনো অজানা। সেই অজানাকে উন্মোচনে এবার টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের বিস্তারিত ফটোগ্রাফিক রেকর্ড সংগ্রহ করে একটি ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) মডেল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এ জন্য হাইডেফিনেশন অপটিক্যাল ক্যামেরা ও বিশেষ ধরনের লাইটযুক্ত যান দুটি সেন্সর স্ক্যানারের মাধ্যমে পানির নিচে থাকা বিভিন্ন বস্তুর বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। টাইটানিকের আশপাশের ধ্বংসাবশেষের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের জন্য দুটি রিমোট চালিত যান ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযানের ইমেজিং প্রোগ্রামের প্রধান ইভান কোভাকস।
তিনি বলেন, ‘ক্যামেরা সিস্টেমের মাধ্যমে মিলিমিটার মাত্রার রেজল্যুশনের ছবিও তৈরি করা যাবে। আবহাওয়া, কম্পিউটার, রোবট আর ক্যামেরা সব ঠিকঠাক কাজ করলে আমরা টাইটানিকসহ ধ্বংসাবশেষের সর্বোচ্চ মাত্রার ডিজিটাল ছবি সংগ্রহ করতে পারব। আক্ষরিক অর্থে বালুর দানাও গণনা করতে পারব আমরা। রোবট যানের ম্যাগনেটোমিটার প্রথমবারের মতো টাইটানিকের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। এই যন্ত্র ধ্বংসপ্রাপ্ত স্থানে সব ধাতব পদার্থকে শনাক্ত করতে পারবে।’