ডেনমার্কে পাহাড়-পর্বত, কোনটিই নেই। তারপরও স্থানীয়রা যেন স্কি খেলার সুযোগ পান সেই পরিকল্পনা থেকে সেখানে একটি পর্বত গড়ে তুলেছেন ডেনিস স্থপতি বজার্ক ইন্জেলস। ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে এই কৃত্রিম স্কি ঢাল তৈরি করা হয়। এটি তৈরি করা হয় ময়লা-আবর্জনা স্তুপ করা হয় এমন একটি ছাদের ওপর, যেখান থেকে আবর্জনা পুড়িয়ে তাপ উৎপন্নের মাধ্যমে বিদ্যুতও উৎপাদন করা হয়।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের এই প্লানটি হতে পারতো কয়েকটি অসুন্দর ব্লকের মাধ্যমে তৈরি বাক্সের মতো। অথবা এটি প্রতিবেশীদের দৃষ্টির আড়ালেই থাকতে পারতো, বেশ আগ্রহ নিয়ে কাথা গুলো বলছিলেন বজার্ক ইন্জেলস,“আসলে এটিই এখন এই শহরের সবচেয়ে জনপ্রিয় পার্ক।“
আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশ্বের সবচেয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এই প্লান্ট হিসেবে অ্যমাজার বাকে নি:সন্দেহে অন্যতম। এ জন্য প্লান্টটিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তিকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। বিশেষ করে এর পরিশোধনের মাধ্যমে নিঃসরণ প্রযুক্তিটি।
২০১৭ সালে নির্মাণ শুরু হলেও শুক্রবার এই স্কি এলাকাটি জনসাধরণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। প্রায় এক দশক ধরে নির্মিত এই প্রকল্পে ব্যয় হয় ৬০০ মিলিয়ন ডলার।
ডেনিস ভাষায় বাকে অর্থ পাহাড়। দেশটির সবচেয়ে উচু স্থান ১৭০ মিটার (৫৫০ ফুট)। সেখানে নতুন করে ৮৫ মিটার উঁচু করে চূড়া তৈরি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠেছে কিভাবে একটি শহরের বর্জ্য’র সর্বোত্তম ভাবে কাজে লাগানো যায়।
এ বিষয়ে কোপেনহিলের জেনারেল ম্যানেজার ক্রিষ্টান ইন্জেল বলেন, ‘এটি পুরোপুরি নিমার্ণে অনেক চ্যালেঞ্জ ছিলো। বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচালনার জন্য এই ছাদটি তার ফার্মকে লিজ দেয়া হয়। এখানে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন হয়। যাতে করে দাহনযন্ত্র এবং উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাষ্পীয় সিস্টেমের উপর স্কি খেলার জন্য সাধারণ মানুষ অনুমতি দেয়।’
প্লান্টটির ছাদের উপর থেকে পুরো শহরকে দেখা যায়। ভারী শিল্পকারখানা ও বন্দর এর খুব কাছে। অ্যাপার্মেন্ট ব্লক গুলো ১০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে।
অ্যালুমনিয়াম দিয়ে আবৃত বিল্ডিংটির ৪৫০মিটার উঁচু ঢাল দিয়ে স্কি খেলোড়াররা শো শো করে নেমে যাওয়ার জন্য দ্রুতই তৈরী হবে। আশা করা হচ্ছে এখানে প্রতি বছরে প্রায় ৫০-৬০ হাজার স্কি খেলতে পারবে।