প্রতিটি আধুনিক ম্যাক ডিভাইসের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক গোপন বিটকয়েন ডকুমেন্ট। ২০১৮ সালের পর থেকে ‘ম্যাকওএস’ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণে আপডেট করা পিসিতেই লুকিয়ে রয়েছে ‘বিটকয়েন হোয়াইটপেপার’ নামে এক নথির অনুলিপি।
এমনই দাবি করছেন ব্লগার ও প্রযুক্তিবিদ অ্যান্ডি বাইও। তিনি এর অস্তিত্বের ইঙ্গিত পেয়েছেন এক বছর আগে। আর এটি যুক্ত করা প্রকৌশলীরা এর পর থেকে এটি আপডেটও করেননি।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর খবরে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ফাইলে মধ্যে ‘ভার্চুয়াল স্ক্যানার ২’ নামে পরিচিত এক ডিভাইসের খোঁজ করলে যে কেউই এটি খুলতে পারেন । নথিটি সম্ভবত ওই কার্যকারিতার নমুনা ফাইল হিসেবে যুক্ত করা হয়। এটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহারের প্রয়োজনীয়, সংক্ষিপ্ত নথিও হতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি।
বাইও এরঅনুসন্ধান বলছে, এই নথি কেবল ক্রিপ্টোমুদ্রার কার্যক্রমের বিবরণই দেয় না, বরং প্রাথমিকভাবে এটি কেন তৈরি হয়েছে, তার পেছনের ভাবনাও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করে। এর ফলাফল হিসেবে এটি সেইসব ব্যাক্তির কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে উঠেছে, যারা সাধারণত বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোমুদ্রার পক্ষে প্রচারণা চালান। আর এই কারণেই হয়তো এটি সফটওয়্যারের মধ্যে গোপনে যুক্ত করা হয়। সম্ভবত, ম্যাকওএস নিয়ে কাজ করা কোনো প্রকৌশলী এমনটি ঘটিয়েছেন।
তথ্য বলছে, ফাইলটি পাঁচ বছর ধরে সফটওয়্যারের মধ্যে থাকলেও অনলাইনে এটি নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে। তবে ফাইলটি কীভাবে ম্যাকওএস-এ যুক্ত হলো, ওই সম্পর্কে কোনো তথ্য দেয়নি অ্যাপল।
আনুষ্ঠানিকভাবে অ্যাপল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রিপ্টোমুদ্রা থেকে নিজেদের আলাদা রেখেছে। এমনকি অর্থ পরিশোধ ও ঋণ প্রদানের মতো বিভিন্ন প্রচলিত আর্থিক পরিষেবায় এটি চালু হওয়ার পরও।
২০২১ সালে কোম্পানির সিইও টিম কুক বলেন, অ্যাপল ক্রিপ্টোমুদ্রার বিষয়টি ‘খতিয়ে দেখছে’। আর ব্যক্তিগতভাবে এতে নিজের বিনিয়োগের কথাও জানান তিনি। তবে তিনি আরও বলেন, কোম্পানির এই ব্যবস্থায় প্রবেশের ‘তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা’ নেই।