দেশের হাইটেক পার্কগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ সম্ভাবনা তুলে ধরলো বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। উপস্থাপনায় বাংলাদেশের তরুণদেশের উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কাউকে মডেল হিসেবে নয় বাংলাদেশকেই অন্য দেশ মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ নিয়ে জাপানী দূতাবাসের আয়োজনে ইউএন ডেভলপমেন্ট ইনভেস্টমেনন্ট অর্গানাইজেশন ও হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ওয়েবিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগসহ আইসিটি খাতে আগামী দিনগুলোতে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ ও জাপান।
ওয়েবিনারে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জাপান সফরের কথা স্মরণ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, স্বাধীনতার পর যেসব দেশ দ্রুত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো জাপান তাদের অন্যতম। স্বাধীনতার অব্যবহিত পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের একক উন্নয়ন সহযোগী। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে জাপানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ওয়েবিনারে যোগদানকারী প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম। পরিচিতি পর্বের পর তিনি পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনায় বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির চিত্র এবং ক্রমবিকাশমান আইসিটি ইন্ডাস্ট্রিতে দুই দেশের অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিশেষকরে বাংলাদেশের হাই-টেক পার্কগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, বাংলাদেশে টেকসই হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম নির্মাণের এখনই উপযুক্ত সময় যেখানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। কোভিড-১৯ পরবর্তী বৈশ্বিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শ্রম-নির্ভর অর্থনীতি যথেষ্ট নয়। চলমান পরিস্থিতিতে যেসব দেশ জ্ঞান-ভিত্তিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিল্পের বিকাশে মনোনিবেশ করছে তারাই এফডিআই (সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ) আকৃষ্ট করতে সমর্থ্য হবে। এই বাস্তবতা উপলব্ধি করে, প্রযুক্তিভিত্তিক অবকাঠামো উন্নয়নে শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।
দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করতে ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরি করছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। ফলে তরুণ প্রজন্ম চাকুরি খোঁজার পরিবর্তে চাকুরি সৃষ্টির প্রতি অধিক মনযোগী হচ্ছে। অথচ ১৩ বছর আগে দেশের স্বল্প শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম কর্মসংস্থানের জন্য গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শ্রমনির্ভর শিল্পের উপর নির্ভরশীল ছিলো। বর্তমানে তারা আইটি শিল্পে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছে। এছাড়া স্টার্টআপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের হার বাড়ানো এবং জেন্ডার ইনক্লুসিভ ডিজিটাল এন্টারপ্রেনারশিপ তৈরি করা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী, ফলে গ্লোবাল ইকোনমিতে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নাই। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে শিক্ষা-স্বস্থ্য-যোগাযোগ-আইসিটিসহ বিভিন্ন সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে। ফলে এখন বাংলাদেশ টেক-অফ করার পর্যায়ে অবস্থান করছে। কোনো দেশের উন্নয়নে সম্পদ গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং দক্ষ জনশক্তি, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, ইনোভেটিভ আইডিয়া ও এক্সিলারেশন অত্যন্ত প্রয়োজন। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কাউকে মডেল হিসেবে নয় বাংলাদেশকেই অন্য দেশ মডেল হিসেবে গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজিজুল ইসলাম, জেট্রো বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইউজি আন্দো, বিজেআইটি সিইও মাসাকি হরিকাওয়া প্রমুখ বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, জাপানের বাংলাদেশ দূতাবাস, বিজেআইটি, জেট্রোর প্রতিনিধিরা সংযুক্ত ছিলেন।
Can you be more specific about the content of your article? After reading it, I still have some doubts. Hope you can help me.
Your point of view caught my eye and was very interesting. Thanks. I have a question for you. https://www.binance.com/it/join?ref=S5H7X3LP