৩১ সালের মধ্যে মেড ইন বাংলাদেশ চিপ রফতানি আয়ের লক্ষ্য ১০ বিলিয়ন ডলার

২০৩১ সালের মধ্যে বিশ্বে মেডইন বাংলাদেশ চিপ উপহার দিতে চায় সেমিকন্ডাক্টর ডিজাইন কোম্পানি উল্কাসেমি। এরইমধ্যে দুইটি নকশা করে পাঠানো হয়েছে ফ্যাবল্যাবে। গুলশানে ৩০০০ বর্গফুটের নিজস্ব ল্যাবে বসে সিলিকনভ্যালির টিটন ইলেকট্রনিকসের ফ্যাবল্যাবে পরীক্ষা করছেন চারজন প্রকৌশলী। প্রতিষ্ঠানটির ৩০০ প্রকৌশলীর ৩০ শতাংশই মেয়ে। এদের কারওই নেই বিদেশী কোনো ডিগ্রি কিংবা প্রশিক্ষণ। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েই নিরন্তর প্রচেষ্টায় এখন উল্কাসেমি এখন কাজ করতে যাচ্ছে অ্যাপল ও টিএসএম এর সঙ্গে।

উল্কাসেমাই এর ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে এমনটাই প্রত্যাশা করেন উল্কাসেমি সিওও এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান টিটন ইলেকট্রনিকসের সিইও মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠানে উল্কাসেমির নতুন একটি টেস্ট ল্যাব উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার মনে হচ্ছে, আমরা সেমিকন্ডাক্টর যুগে প্রবেশ করলাম। বাঙালী ছেলেরা যে মেধা ও সৃজনশীলতায় কারো চেয়ে পিছিয়ে নেই তার অন্যতম উদাহরণ উল্কাসেমি। আমরা আশা করছি, দেশের মেধাবী প্রকৌশলীদের মাধ্যমে আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ সেমিকন্ডাক্টার ও চিপ ডিজািইনিং, টেস্টিং এবং ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মাধ্যমে সেমি কন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি হতে ১০ বিলিয়ন ডলার সমপরিমান রফতানি আয় করতে পরবো। এজন্য আইসিটি খাতের জন্য করমুক্ত সুবিধা ২০২৪ সাল থেকে বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত করতে আমি মাননীয় উপদেষ্টার কাছে আবেদন করবো। উল্কাসেমি’র এর বিকাশের জন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ তাদেরকে বিনিয়োগ দেবে।

২০০৮ এর পর ২০২৩ সালের বাংলাদেশে রাত-দিনের পার্থক্য উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজ প্রকল্পের ভবিষ্যতমুখী দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে ২০ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজ্যুয়েটদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এর মধ্যে ৪ হাজার জনকে দক্ষ করা হবে ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিতে। পাশাপাশি ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিএলএসআই ল্যাব স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে অল্পদিনের মধ্যে ৩০০ মিলিয়ন ব্যয় করা সম্ভব না হলেও ১৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে আমরা অল্পদিনের মধ্যেই বুয়েটে একটি ন্যানো ল্যাব স্থাপন করবো।

অনুষ্ঠানে উল্কাসেমি চেয়ারম্যান এনায়েতুর রহমান বলেন, আমরা বিশ্বকে মেড ইন বাংলাদেশ চিপ উপহার দিতে চাই। এ জন্য আমরা কাজ করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলাম, আইপিডিসি ফাইন্যান্স চেয়ারম্যান ড. আব্দুল করিম, এফবিসিসিআই পরিচালক শাফকাত হায়দার চৌধুরী, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ প্রমুখ।