নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) কোনো ধরনের কারচুপির প্রমাণ দিতে পারলে ইভিএমে ভোট হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার (২৯ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ইভিএমে নিয়ে যারা আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন তাদেরই আমরা আমলে নিয়েছি। বিএনপি তো আলোচনাতেই আসেনি। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি ইভিএমের পক্ষেই বেশিরভাগ আলোচক মত দিয়েছেন।
‘ইভিএমে কারচুপি’ নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সাম্প্রতিক বক্তব্য বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, যিনি বলছেন তাকে প্রমাণ দিতে হবে। উনি যদি আমাদের কাছে এসে দেখতে চান, জানতে চান, আমরা উত্তর দেবো। উনি যদি প্রমাণ দিতে পারেন (ইভিএমে কারচুপির), তাহলে বাতিল করে দেবো। এর বাইরে কে কী বলবে, তা দেখে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমাদের কাছে এসে যদি প্রমাণ করতে পারে ইভিএমে কারচুপি করা যায়, তাহলে ইভিএমে ভোট হবে না।
গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইভিএম প্রসঙ্গে বলেন, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমসহ অধিকাংশ ব্যক্তি ইভিএমের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অথচ কারও কথা না শুনে ইভিএমের কারিগরি ত্রুটি না দেখে নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটের ঘোষণা দিলো। কমিশন কী উদ্দেশে এ কাজ করছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
ওই বক্তব্যে ড. বদিউল ইভিএম পদ্ধতির সমালোচনা করে আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন বলছে ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই। অথচ ইভিএম প্রযুক্তিতে কারিগরি ত্রুটি রয়েছে, সমস্যা রয়েছে। ইভিএম প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্বাচনের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এটি একটি দুর্বল যন্ত্র। এর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। ইভিএমের নিয়ন্ত্রণ বাইরের কারও হাতে না থাকলেও নির্বাচন কমিশন ও কর্তাব্যক্তিদের হাতে আছে। ১৫০ আসনে ইভিএম দেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে কমিশন প্রতিটি মানুষের আস্থা হারিয়েছে।