প্রযুক্তি ও তরুণ প্রজন্মকে কেন্দ্র করেই চলছে আইসিটি বিভাগের সার্বিক কার্যক্রম। এরই অংশ হিসেবে শতবর্ষে শত আশা প্রকল্পে নতুন করে আরো ৮টি উদ্ভাবনী উদ্যোগকে ১৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলো আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ।
বুধবার আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শত বর্ষে শত আশা’ বিনিয়োগ উদ্যোগের দ্বিতীয় ধাপে এই বিনিয়োগ চুক্তি হয়েছে। বিনিয়োগকারী হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাশে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদ চুক্তিতে সই করেন। অপরদিকে বিনিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে টেন মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠাতা আইমান সাদিক, ফ্রন্টিয়ার নিউট্রেশন চেয়ারম্যান তানভীর আলীম, হ্যালো টাস্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদুল হাসান লিখন, আই ফার্মার সিইও ফাহাদ ইফাজ, লুপ সিইও রাজীব দাস, শাটল সিইও রিয়াসাত চৌধুরী, ট্রাক লাগবে প্রতিষ্ঠাতা সিইও এনায়েত রশীদ, যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহতাসিম মাহমুদ আল-ফারুক শুভ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এর আগে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বিনিয়োগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, তরুণ প্রজন্মের সুপ্ত আশা ও স্বপ্নগুলো পূরণ করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ স্বপ্ন।
বার্তমানে দেশে ২০৫০টি স্টার্টআপ ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং সাড়ে ৭০০ মিলিয়ন বৈদেশিক বিনিয়োগ এনেছে উল্লেখ করে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ২০২৫ সাল নাগাদ দেশে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান করবে এই স্টার্টআপগুলো। বিকাশ এর মতো আরো ৫টি স্টার্টআপকে বিলিয়ন ডলারে কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আইসিটি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। শিগগিরই পাঠাও এবং শাপআপ বিলিয়ন ডলার কোম্পানিতে পরিণত হবে।
দেশকে জ্ঞান ও উদ্ভাবন ভিত্তিক অর্থনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউনিবেটরের মাধ্যমে সেখানে শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনাময় অ্যাসায়েনমেন্টগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। দেশের ৬৪টি জেলাতেই ডিজিটাল সেন্টার থেকে ৫ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান করা হবে।
স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামী আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তাফা ওসমান তুরান,বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম এবং বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ।
২০১৯ সালে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের অনুমোদন দেয় সরকার। এর মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে শতবর্ষে শত আশা প্রকল্পে এই বছরের মধ্যেই ৫০ স্টার্টআপকে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যে উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে খুঁজে বের করে তাদের প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ শুরু করে আইসিটি বিভাগ। প্রথম ধাপে গত বছর ৭টি কোম্পানিকে ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়।