“একুশের চেতনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা নত না করা। আর এই চেতনা কাজে লাগিয়ে বৈষম্য দূর করে ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠন করতে পারি। অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প কোনো প্রধানমন্ত্রী নেই। তারা বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ই-নথির মাধ্যমে এখন গাড়িতে-বাড়ীতে, দেশে-বিদেশে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা অফিস চলছে। যে কারণে এই অনুষ্ঠান স্থল থেকেই আমি চারটি ফাইলের কাজ সম্পাদন করতে পেরেছি মোবাইল ফোনেই। ডিজিটাল মাধ্যমে পড়াশোনা চলছে। ব্যবসায়-বাণিজ্য চলছে। এমনকি কোরবানীর হাটও হয়েছে অনলাইনে। ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোনে লেনদেন করছেন। এক কোটি ৩০ লাখ মায়ের কাছে শিক্ষা বৃত্তি পৌঁছে দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ২০ লাখ মা-কে গোপনে ফোন কিনে দিয়েছেন। এমনকি যশোরে তামান্নার.. তাদের অন্তর কতটা কাঁদে দেশের জন্য।”
সিংড়া উপজেলা হল রুমে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটাই বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “বাংলা ভাষা বিশ্বে তিন জন তুলে ধরেছেন। এদের একজন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। অন্যজন হলো শফিউর-রফিক-জব্বার এর মতো ভাষা শহীদরা। আর তৃতীয় ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিসংঘের অধিবেশনে মাথা উঁচু করে বাংলায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন।”
পলক আরো বলেন, বাংলা ভাষার বিকৃতি তথা বাংরেজি বা বাংলিশ থেকে নতুন প্রজন্মকে রক্ষা করতে ছোট বেলা থেকেই কবিতা লেখা, আবৃত্তি করার মতো সাংস্কৃতিক চর্চা ছোটবেলা থেকেই প্রয়োজন।
নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম সামিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলী আশরাফ, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান কামরান, শামীমা হক রোজী প্রমুখ।