রমনার বটমূলে নয়, ভার্চুয়াল মাধ্যমে নববর্ষের প্রভাতী আবাহন উদযাপন করলো সাংস্কৃতিক বিদ্যাপীঠ ছায়নট। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ছায়ানটের এই আয়োজনটি সম্প্রচার করা হয় ইউটিউব চ্যানেল এবং বিটিভিতে।
পুরোনো ও নতুন পরিবেশনের মিশ্রণে সাজানো হয় বাংলা বর্ষবরণের প্রতীকী ও সংক্ষেপ্তি পরিসরের এই ডিজিটাল আয়োজনটি। বিশেষ করে মানুষের মঙ্গল কামনা এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে উজ্জীবনী গান, আবৃত্তি ও কথন দিয়ে সাজানো ছিল অনুষ্ঠান।
আয়োজনের শুরুতেই রাগালাপে সরোদবাদন করে ইউসুফ আলী খান। মহামারী ক্লান্ত মানুষের সামনে লড়াইয়ের সেঁজুতি বড়ুয়ার কন্ঠে রবীন্দ্রনাথের উজ্জীবনী গান তুলে ধরে ছায়ানটের শিল্পীরা গাইলেন “আমি ভয় করব না, ভয় করব না। দু’বেলা মরার আগে মরব না ভাই, মরব না।”
এআগে ‘পূর্বগগনভাগে দীপ্ত হইল সুপ্রভাত’ সম্মেলকভাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করে ছায়ানটের বড়দের দল। ‘অন্ধকারের উৎস হতে’ একক রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন আব্দুল ওয়াদুদ।
এছাড়াও ‘এলো এলো রে বৈশাখী ঝড়’ সম্মেলক নজরুল গীতি উপস্থাপন করে ছায়ানটের ছোটদের দল। কাজী নজরুলের ‘গগনে প্রলয় মেঘের মেলা’ একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন খায়রুল আনাম শাকিল।
আয়োজনে ফারহানা আক্তার শ্যার্লি, ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, নাসিমা শাহীন ফ্যান্সি, রেজাউল করিম এবং আবুল কালাম আজাদসহ ছায়ানটের শিল্পীরা বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করেন। সবশেষে কথন পর্বে অংশ নেন ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন।
নজিরবিহীন এই পরিস্থিতিতে আশার বাণী শুনিয়ে ছায়ানট সভাপতি সনজীদা খাতুন বলেন, “আমরা আশা করছি, অন্ধকারের উৎস থেকে আলো উৎসারিত হবেই। নতুন বছর বয়ে আনবে সর্বজনের জন্য মঙ্গলবার্তা। আলো আসবেই।”