বিশ্বের ১২টি দেশ থেকে ইন্টারনেট দুনিয়ার অংশীজনদের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে শনিবার শেষ হলো ৫ম বিডি সিগ। স্কুলের সমাপনী অধিবেশনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে সাইবার নিরাপত্তা আইন এর প্রয়োগের কঠোরতা নিয়ে। আলোচনায় অংশীজনদের নিয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইনের অস্পষ্টতা দূর করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দাবিও উত্থাপিত হয়েছে।
তবে সাইবার নিরাপত্তা আইনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কঠোর আইন থাকার পরও সরকার অসহায় বলে অভিমত ব্যক্ত করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এছাড়াও মন্ত্রী তার বক্তব্যে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বা প্রাইভেসির দিকেও গুরুত্ব দেওয়ার সময় এসেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে দেশে স্থাপিত ৫টি বিভাগীয় সাইবার আদালতে অবিলম্বে তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের অন্তর্ভূক্তি ও ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনের পাশাপাশি উচ্চ আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সভাপতি এবং তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু।
এছাড়াও প্রচলিত দণ্ডবিধির বিভিন্ন বিষয়ের সঙ্গায়নের অস্পষ্টতা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার দক্ষতা উন্নয়ন ও বাড়াবাড়ি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব দিয়েছেন ইনু। একইসঙ্গে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল আইন তৈরির দাবি জানান তিনি।
সমাপনী অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট খন্দকার হাসান শাহরিয়ার।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমাদের গ্রামের পরিচালক রেজা সেলিম, সাউথ এশিয়া আর্টিকেল ১৯ ডিরেক্টর রেজুনাল ফারুক ফয়সল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এস এম শামীম রেজা, ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির, সুপ্রিম কোর্টের এডভোকেট ফারহানা রেজা এবং দৈনিক সমকালের বিশেষ প্রতিনিধি রাশেদ মেহেদি।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনএনআরসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএইচএম বজলুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিআইজিএফ-এর সেক্রেটারি-জেনারেল মোহাম্মদ আবদুল হক আনু। অনুষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকা ১০জন বিজয়ীকে পুরস্কৃত করা হয়।