বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অগ্রগতির সোপান বিবেচানায় নিয়ে জনকল্যাণে গবেষণা চালিয়ে যেতে শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে কোভিড পরবর্তী সময়ে ডিজিটাল অন্তর্ভূক্তির কল্যাণে যে অগ্রগতি ধরে রাখা গেছে তা আর থামবে না বলেও মন্তব্য করেছেন সরকার প্রধান।
বৃহস্পতিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক, মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনোয়ার হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে নানা সরকারের নানা উদ্যোগ তুলে ধরে শিক্ষা ও গবেষণায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়ার কথাও জানান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকার প্রধান বলেন, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এটা তো আমাদের অগ্রগতি সাধন করবার একটা উপায়। গবেষণা ছাড়া বা বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষা ছাড়া কিভাবে একটা জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে? কারণ বিজ্ঞানের যুগে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের চলতে হবে।”
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায়ও যথেষ্ট সহযোগিতা ও সুযোগ পাওয়া গেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি মনে করি বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।”
এর আগে অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। কবিতায় তিনি বলেন, ‘যদি বেঁচে যাও করনার কালে/ যদি কেটে যায় মানুষের মৃত্যুর ভয়/জেনো বিজ্ঞান লড়ে গেছে সদা/নাই ভয় হবে মানুষের জয়।