মুজিব বর্ষে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ভার্চুয়াল মাধ্যমের কল্যাণে এখন চলতে চলতেও কাজ করা যাচ্ছে। দেশের কৃষক-শ্রমিক থেকে শুরু করে সবাই এই সেবা পাওয়ায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রবিবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে বুড়িমারি বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যারের ওয়েব উদ্বোধনের সময় দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে চলমান অবস্থাতেই সংযুক্ত হয়ে দেয়া বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে দেশের সবকটি স্থলবন্দরকে প্রযুক্তির মোড়কে মোড়ানোর আশ্বাস দেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
স্থাল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে লালমনির হাটের সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ মোতাহের হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, এটুআই নীতি উপদেষ্টা আনীর চৌধুরী এবং প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুল মান্নানসহ অংশীজন পর্যায়ের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, আমদানি-রফকানিকারকরা এ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। সেবা গ্রহীতাদের সময় এবং খরচ কমবে এবং স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানির প্রসার বৃদ্ধি পাবে। পণ্যবাহী ভারতীয় গাড়ি বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের তথ্য এবং পণ্যের ওজনের তথ্য স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এসএমএস এবং ইমেইলের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে আমদানিকারকের কাছে পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় বিলিং, পণ্যের পোস্টিং, বন্দরের গেট পাস, অনলাইন ডেলিভারি, অনলাইন মনিটরিং ও রিপোর্ট (ড্যাশবোর্ড), অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা, আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ভারতীয়গাড়ীচালক, পণ্যের তথ্য সংরক্ষণ সুবিধা থাকবে।