অটিজম আর মানসিক বৈকল্যে ভুগতে থাকা শিশুদের শিক্ষণ প্রক্রিয়া ও জ্ঞান বিনিময়ে প্রযুক্তি একটি সুযোগ নিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। সব শিশুর পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারীতে বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষাদানেও প্রযুক্তির পূর্ণ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ‘সূচনা ফাউন্ডেশন : এ রোডম্যাপ ফর এনশিওরিং দ্য এমপ্লয়মেন্ট অফ পার্সনস উইথ নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে সঞ্চালকের বক্তব্যের শুরুতেই এই আহ্বান জানান তিনি।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পেরুর অ্যান সুলিভান সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক লিলিয়ান মায়ো ওর্তেগা।
আলোচক ছিলেন এশিয়া প্যাসিফিক ডেভেলপমেন্ট সেন্টার অন ডিজঅ্যাবিলিটির সুচনা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা সদস্য মিস্ নুনু সুপাঙ্গো।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন সুচনা ফাউন্ডেশনের কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট লিড নাজিস আরমান এবং প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশাল এ্যডুকেশনের সিনিয়র অ্যাসিস্টেন্ট টিচার মাহবুবা আক্তার।
বক্তব্যে সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সায়মা ওয়েজেদ বিশেষ শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পরিবারকেও সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশে আইসিটি বিভাগ এ বিষয়ে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করছে বলে মন্তব্য করেন।
ওয়েবিনারে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীকন্যা সায়মা আরও বলেন, “আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে; তারপরও নিজেদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা শেয়ার করার মাধ্যমে এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যদি আমরা গড়ে তুলতে পারি, তাহলে সেটা শিক্ষার্থীদের জন্য সেটা দারুণ হবে।”
তিনি আরো বলেন, “৫-৬ বছর আগেই বিশেষ শিশুদের শিক্ষা ও কার্যক্ষেত্রে তাদের উপযোগী করে তুলতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের কাজ শুরু করে সুচনা ফাউন্ডেশন। আমরা আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে একটি ভালো প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি।”