সাইবার সুরক্ষা আইনে ওয়ারেন্ট ছাড়া গ্রেফতার বা তল্লাশি করার বিধানের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল ভূঁইয়া। তিনি বলেছেন, পুলিশকে এই অধিকার দেয়া গণঅভ্যুত্থান চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।
রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শুক্রবার অনুষ্ঠিত ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত জাতীয় সংলাপে এমনটাই বলেছেন তিনি। তার মতে, অপরাধের জন্য ফ্যাসিবদ আওয়ামী লীগছাড়াও এর দোসর হিসেবে গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত র্যাব, ডিবি এবং ডিজিএফআই এর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিচার করা জরুরী। এ কারণেই ব্যক্তির সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক বিচারও করতে হবে। এই ব্যর্থতায় আমরা জন্ম থেকেই জ্বলছি।
আর এটা না করা হলে গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণা ‘রিসেট বাটন পুশ’ করার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকবে বলেও সতর্ক করেন এই তরুণ রাষ্ট্র চিন্তক।
ডিজিটাল স্পেসে শুধু কথা বলার অপরাধে মামলার শিকার ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি চেয়ে তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল স্পেসে শুধু কথা বলার জন্য সাড়ে ৮ শ’ মামলা হয়েছিলো বিগত সরকারের আমলে। শুরুতে স্পিস অফেন্স মমালাগুলো বাতিলের কথা দিয়েছিলেন অন্তবর্তি সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল স্যার। কিন্তু এগুলোর একটা মামলাও বাতিল হয়নি।
এসময় গুমের পাশাপাশি মব জাস্টিসকে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন দিদারুল ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ঐক্য বা বিচার চাওয়ার সময়ে কেউ কেউ রাষ্ট্রের কার্যক্রম ব্যাহত করে কোন কোন জায়গায় লুটপাট, ধান্দ ও দখল করা যায় তা শুরু কয়েছে। এরকম অবস্থা এবং মব জাস্টিস থাকলে ঐক্য নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার দুরুহ হয়ে পড়বে।