বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য জাপানের প্রযুক্তিগত দক্ষতার সহযোগিতা আরো প্রসারিত করার আহ্বান জানিয়ে আটটি পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি এডভাইজার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। মঙ্গলবার গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত “ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন: জাপান-বাংলাদেশ সহযোগিতার সুযোগ” শীর্ষক আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধে জাইকা, জেট্রো এবং মিয়াজাকি শহরের মেয়রের সামনে এই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।
উপস্থাপনার শুরুতেই তিনি বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য জাপানের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে সরকারের কর্মকর্তাদের জাপানের অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতার বিষয়ে আলোকপাত করেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি মনে করেন, জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর আরও শক্তিশালী হতে পারে। তবে এজন্য ডেটা ফ্রেমওয়ার্ক পূণর্বিন্যাস দাবি করে ‘ডেটার শ্রেণীবিভাগ, মালিকানা এবং নিরাপত্তা’র গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে একটি সার্বজনীন পেমেন্ট ইকোসিস্টেম উন্নয়ন; স্টার্টআপ ও সেমিকন্ডাক্টর উন্নয়ন, ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা; সাইবার সুরক্ষা; আইসিটি ট্রেনিং ও দক্ষতা উন্নয়ন; মেশিন ভিশন, থ্রিডি প্রিন্টিং এবং বৈদ্যুতিক যান তৈরির মতো উদীয়মান শিল্পে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। এজন্য বাংলাদেশ ও জাপান এর মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরো নিবিঢ় করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতির মূলভিত্তি ডেটা। সুশাসন, সামাজিক এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, সরকারি পরিষেবা উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ডেটা নতুন সুযোগ তৈরি করবে। নাগরিকের তথ্য-উপত্তের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা বজায় রেখে ইন্টারঅপারেবিলিটি বৃদ্ধির জন্য ডেটা এক্সচেঞ্জ স্ট্যান্ডার্ড প্রতিষ্ঠা করা দরকার। একইসঙ্গে
বাংলাদেশের পেমেন্ট সিস্টেম বিদ্যমান ৭ কোটির বেশি অ্যাকাউন্টকে অধিক কার্যকরী ও দক্ষ ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য আরও সমন্বয় এবং একটি ইউনিভার্সাল পেমেন্ট সিস্টেম প্রয়োজন। পাশাপাশি উদ্যোক্তা খাতের বিকাশে জাপান বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক কোচিং এবং মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম; বিশেষ করে উদীয়মান প্রযুক্তি যেমন এআই, ব্লকচেইন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারে। এছাড়াও সিলিকন ওয়েফার উৎপাদন, আইসি চিপ ফ্যাব্রিকেশনে—বাংলাদেশকে একটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সরবরাহ চেইনের অংশ করে তুলতে পারে।