কল্প বাস্তবায়ন মূল্যায়ন উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে ইলেকট্রনিক প্রকল্প ব্যবস্থাপনা তথ্য সিস্টেম (ই-পিএমআইএস) চালু করা হয়েছে, যা প্রকল্প বাস্তবায়নের তথ্য ও বাস্তব অবস্থা জানতে সাহায্য করবে। সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ই-পিএমআইএস সফ্টওয়্যার সফটওয়্যার সম্পর্কে অবহিতকরণ সংক্রান্ত এক অংশীজন কর্মশালায় এ পর্যবেক্ষণটি তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এর আয়োজন করে। আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন। বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা আশফাকুর রহমানের সভাপত্বিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট বিশেষজ্ঞ আরাফাত ইশতিয়াক। গতকাল সোমবার বিপিপিএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডিম্যাপ) আওতায় বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) জন্য তৈরি করা হয়েছে ই-পিএমআইএস। এটি সরকারি প্রকল্প ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের জন্য একটি উপকারী পদ্ধতি। এই ডিম্যাপ বাস্তবায়ন করছে বিপিপিএ।
কর্মশালায় মো. আকনুর রহমান পিএইচডি ই-পিএমআইএসের লক্ষ্য, সিস্টেমে প্রবেশাধিকার, মডিউল, প্রধান বৈশিষ্ট্য, সুবিধা, ভূমিকা ও দায়িত্ব, অন্যান্য সিস্টেমের সঙ্গে সংযোগ ও বর্তমান অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় বিভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত ৫১টি সরকারি সংস্থার প্রায় ৭০ কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এতে আইএমইডি ও বিপিপিএর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আওতায় ১ হাজার ৩৪৩টি প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ পর্যন্ত ১ হাজার ২১৯ জন প্রকল্প পরিচালক ই-পিএমআইএসে নিবন্ধিত হয়ে প্রকল্পের তথ্য দিয়েছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়ন মূল্যায়নের মান উন্নত করতে এবং অতিরিক্ত সময় ও ব্যয় কমাতে ই-পিএমআইএসের স্বচ্ছতা ও রিয়েল-টাইম তথ্য দানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন আইএমইডি সচিব। প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব ও অতিরিক্ত ব্যয় কমানোর বিষয়ে সরকার অগ্রাধিকার দিয়েছে। ই-পিএমআইএস এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য একটি কার্যকর হাতিয়ার। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ সিস্টেমের সুবিধা পুরোপুরি গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তা আরাফাত ইশতিয়াক উল্লেখ করেন, প্রকল্প পরিচালকদের ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে যত বেশি তথ্য ই-পিএমআইএসে দেওয়া হবে, এই ইলেকট্রনিক সিস্টেমটি ততই কার্যকর হবে। তিনি বিপিপিএর ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম (ই-জিপি) এর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, এটি ব্যবহারের সঙ্গে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সফটওয়্যারটি প্রকল্প ব্যবস্থাপনাকে আরো সহজ ও উন্নত করতে ডিজাইন করা হয়েছে। আইএমইডি এই ব্যবস্থাকে কার্যকর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। আইএমইডির অধীন পূর্ববর্তী সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটকে (সিপিটিইউ) বিপিপিএতে রূপান্তরিত করা হয়েছে, যাতে দেশে সরকারি ক্রয় পরিবেশের উন্নতি এবং পেশাদারত্ব বৃদ্ধি করা যায়। বিশ্বব্যাংক বিপিপিএকে ডিম্যাপের জন্য কারিগরি সহায়তা করেছে।