আন্দোলনের নামে বুয়েটে অচলবস্থা সৃষ্টির দায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর নামে হিজবুত তাহেরি, শিবির ও উগ্র মৌলবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। এছাড়াও পাঁচটি দাবি জানানো হয়।
সোমবার (১ এপ্রিল) বুয়েট প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক থেকে বের হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে (আইইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আইইবির সভাপতি ও বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুস সবুর।
তিনি বলেন, বুয়েটের আপামর ছাত্রছাত্রীরা জঙ্গি, মৌলবাদীদের সবসময় প্রতিরোধ করে, যার প্রমাণ আমরা বারবার পেয়েছি। জঙ্গি ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী অবস্থানের জন্য ছাত্রলীগ নেতা, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আরিফ রায়হান দীপকে নজরুল ইসলাম হলে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ বুয়েটের ছাত্রছাত্রীরা সবসময় সন্ত্রাসকে তীব্রভাবে প্রতিহত করার ফলে ক্যাম্পাসে সনি, আবরার হত্যাকারীদের ঠাঁই হয়নি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ্য করছি, প্রগতির চাকাকে উল্টে দিয়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বুয়েটে বারবার বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা ৫ দাবির মধ্যে রয়েছে- বিগত ২৮ মার্চ থেকে বুয়েটে অচলাবস্থা ও অরাজকতা সৃষ্টির মাধ্যমে বুয়েটে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষাসহ একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টিকারীদের তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
দ্বিতীয়, ইমতিয়াজ রাব্বীর বিনা তদন্তে বেআইনিভাবে হল থেকে বহিষ্কারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।
তৃতীয়, বুয়েটের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে টাংগুয়ার হাওরে গ্রেপ্তারকৃত ২৪ উগ্র-মৌলবাদীদের বিরূদ্ধে বুয়েট কর্তৃপক্ষের একাডেমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
চতুর্থ, বুয়েটে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরির, শিবিরসহ উগ্র-মৌলবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে এবং এদের মদদ দানকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পঞ্চম, ছাত্র রাজনীতি চালুর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে বুয়েটে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির উত্থান বন্ধ করতে হবে বলেও জানান আবদুস সবুর।