প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও বর্তমান বৈশ্বিক পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থায় অপরাধ ও অপরাধীদের কার্যক্রমে বহুমাত্রিকতা যুক্ত হয়েছে। বহুমাত্রিক অপরাধ মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের অপরাধবিষয়ক উচ্চশিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ক্রিমিনোলজি ও পুলিশ ম্যানেজমেন্টের ওপর এক বছর মেয়াদি মাস্টার প্রোগ্রামের অষ্টম ব্যাচেরউদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের অপরাধের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির ও যোগাযোগের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচলিত অপরাধের ধরন যেমন পরিবর্তিত হয়েছে, তেমনি ডিজিটালাইজড পদ্ধতির অপরাধ যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ উচ্চতর শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে সেসব অপরাধ মোকাবিলায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক অপরাধের প্রভাবে বাংলাদেশেও সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের মতো অপরাধ যুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ সফলতার সঙ্গে এ ধরনের দেশীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বহুমাত্রিক অপরাধ মোকাবিলায় শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছার ফলে ২০০০ সালে পুলিশ স্টাফ কলেজের যাত্রা শুরু করে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা বিষয়ে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।’
সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মল্লিক ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষাবর্ষ ২০১৫-১৬ থেকে মাস্টার অব অ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্ট শীর্ষক এক বছর মেয়াদি মাস্টার্স প্রোগ্রাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পুলিশ স্টাফ কলেজে পরিচালিত হচ্ছে। পেশাদার এ মাস্টার্স প্রোগ্রামে পুলিশ সদস্য ছাড়াও অন্যান্য পেশায় নিয়োজিতদের ভর্তির সুযোগ রয়েছে। এ কোর্সের মাধ্যমে অপরাধবিষয়ক পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট পুলিশিংয়ের ভিত্তি সুদৃঢ় করতে সহায়তা করবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। স্বাগত বক্তব্য দেন এমডিএস মো. গোলাম রসুল।
কোর্স উদ্বোধনের আগে পুলিশ স্টাফ কলেজের নবনির্মিত সাইবার ল্যাব উদ্বোধন করেন আইজিপি। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক পুলিশ গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। মাস্টার অব অ্যাপ্লাইড ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্টের এবারের ব্যাচে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, আইনজীবী, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী প্রমুখ ভর্তি হয়েছেন।