দেশে প্রথমবারের মতো পাইপলাইন বিহীন গ্যাস সরবরাহ শুরু করছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেড। এর মাধ্যমে সঞ্চালন লাইন না থাকলেও প্রযুক্তির ব্যবহারে এই গ্যাস এখন জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো। এক্ষেত্রে মূলত ‘ক্যাসকেড’ পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। ক্যাসকেড হচ্ছে উচ্চচাপের গ্যাস সিলিন্ডার স্টোরেজ সিস্টেম, যেখানে অনেকগুলো ছোট ছোট সিলিন্ডার থাকে। এরপর তা কম্প্রেসার দিয়ে সিলিন্ডারে রিফিল করে বিশেষভারে রূপান্তরিত ট্রাকে বা বার্জে অন্যত্র পরিবহন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে দ্বীপজেলা ভোলা থেকে উত্তোলিত গ্যাস সিএনজিতে (সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস) রূপান্তর করে তিতাস গ্যাসের বিতরণ এলাকার শিল্পে সরাসরি সরবরাহের এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ভোলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের এমন একটি দ্বীপ জেলা, যার চারদিকেই পানি। বাপেক্সের তথ্যমতে ভোলায় রয়েছে অপার সম্ভাবনাময় গ্যাসক্ষেত্র। ভোলার শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট গ্যাস, যা প্রায় ২৫ বছর সরবরাহ করা যাবে। বাপেক্সের গ্যাসক্ষেত্রগুলোতে গ্যাস মজুতের পরিমাণ এক দশমিক ৭৭২ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নূরুল আমিন, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকারসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সিএনজি আকারে গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রিয়াদ আলী বলেন, “আমরা ইতিমধ্যেই সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। বৃহস্পতিবার থেকে গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক সরবরাহ শুরু হলো। গ্রাফিক্স টেক্সটাইল লিমিটেড প্রথম গ্রাহক হিসেবে গ্যাস পাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে শিল্পাঞ্চলে সরবরাহ দেয়ার জন্য চলতি বছরের ২১ মে ইন্ট্রাকো ও গ্যাস বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিসিএল) মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির সাত মাস পর এ গ্যাস শিল্পে আসা শুরু হলো।