বিটিআরসি বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী

বিটিআরসি, তথ্য কমিশন ভবন ও বিএফডিসি কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন

একুশ বছর পর এক একর জায়গার ওপর নির্মিত নিজস্ব ডেরায় থিতু হলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। রবিবার সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে আগারগাঁওয় প্রশাসনিক এলাকায় বিটিআরসি’র এই স্থায়ী ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই অনুষ্ঠানে নব নির্মিত তথ্য কমিশন ভবন এবং বিএফডিসি কমপ্লেক্স এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করেন তিনি।

হাইব্রিড পদ্ধতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি-কে বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, গত ১২ বছরে বিটিআরসি রাজস্ব আয় জমা দিয়েছে ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মোবাইল ফোন সার্বজনীন করেছে। একারণেই বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠী ১৭ কোটি হলেও মোবাইল সিম ব্যবহৃত হয়ে ১৮ কোটি। সাবমেরিন কেবেলে সংযুক্ত করায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটি ৭২ লাখ।

নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ইন্টারনেটের ব্যাপ্তি বাড়াতে বাংলাদেশ সিমিউই ৬ এও সংযুক্ত হবে এবং দেশের সব অঞ্চলকেই ফাইবার অপ্টিকে সংযুক্ত করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।     

মুখ থুবড়ে পড়া দেশের সিনেমা শিল্পকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এই শিল্পটি আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, দেশের চলচ্চিত্রের মান আবার ফিরে আসছে। সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ হচ্ছে। তবে এখন শিশুদের জন্য আরো বেশি বেশি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা দরকার।

গণভবণ-এ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্থাপিত বিটিআরসি’র ডেমো ভবন উদ্বোধনীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। সেখান থেকেই দেয়া বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আজ আমাদের জন্যে অসাধারণ ও ঐতহাসিক একটি দিন। আপনি বিটিআরসিকে নিজস্ব ভবন উদ্বোধন করে নতুন পথের ঠিকানা দিয়েছেন। ব্যান্ডউইথের দাম কমানো এবং বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে থ্রিজি থেকে ৫জি নেটওয়ার্ক চালুতে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন মন্ত্রী। বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রধানতম বাহন টেলিযোগাযোগ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসি এখন আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে।

এর আগে বিএফডিসি কমপ্লেক্স থেকে সংযুক্ত হয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নের ফলে সম্প্রতি একটি ছবি ২২টি দেশে মুক্তি পেয়েছে। কলকতায় দীর্ঘ এক কিলোমিটার লাইন দিয়ে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র দেখছেন। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষ্টি সংস্কৃতিতে অনন্য হচ্ছে।

এসময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ  আমেদ এবং ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী।

এছাড়াও বিটিআরসি’র প্রথম চেয়ারম্যান সৈয়দ মার্গুব মোরশেদ, সাবেক চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোঃ জহুরুল হক উপস্থিত ছিলেন।  

উদ্বোধনের পর ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মুরশেদ জামান, আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।