নতুন জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। ভোটদানে বাধাদানসহ অনিয়ম ধরতে ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন মিলনায়তনে স্থাপিত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে বসে সিসি ক্যামেরায় চোখ রাখছেন নির্বাচন কমিশনের সদস্যরা।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রথম বারের মত এক সঙ্গে দুই সিটি নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনও।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ। সকাল থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা কন্ট্রোল রুমে উপস্থিত থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রায় আট লাখ ভোটারের এ দুই সিটিতে ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু চলছে, যা একটানা চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচন কমিশনের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক জানিয়েছেন, নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন কমিশন।
এদিকে ঢাকার কাছের জেলা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে ইভিএম ত্রুটির কারণে ভোটগ্রহণে ধীর গতির কথা জানিয়েছেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শাহজাহান। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, প্রথমদিকে মেশিনে কোনো সমস্যা ছিল না। অতিরিক্ত গরমের কারণে হয়তো মেশিন ঠিক মতো কাজ করছে না। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে তাড়াতাড়ি ভোটগ্রহণের।
এ বিষয়ে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিলসাদ জাহান বলেছেন, ইভিএম মেশিন অনেক সময় হ্যাং হয়ে যায়। অনেক সময় নেটওয়ার্ক থাকে না। যার কারণে মাঝেমধ্যে ভোটগ্রহণে কিছুটা সময়ক্ষেপণ হয়ে থাকে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি মানুষের ভোগান্তি কমিয়ে ভোটগ্রহণের জন্য।