দেশের শীর্ষস্থানীয় পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড ও শীর্ষস্থানীয় আইটি কনসালটিং ও সফটওয়্যার সল্যুউশন কোম্পানি ইজেনারেশন লিমিটেডে এর মধ্যে এসএপি ইআরপি সল্যুউশন গ্রহণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
শনিবার (২০ জুলাই) রাজধানীতে এনার্জিপ্যাকের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে এসএপি এর অন্যতম শীর্ষ পার্টনার ইজেনারেশন। এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্লানিং (ইআরপি) এবং ডেটা ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের জন্য এসএপি বিশেষভাবে পরিচিত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতার পাশাপাশি বিজনেস প্রসেসিংকে সহজতর করতে এসএপি এর খাতভিত্তিক বিভিন্ন ধরণের মডিউল সুপরিচিত ও পরিক্ষীত। ওয়ালমার্ট, এক্সন মোবিল, বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে, অ্যাপল, ইউনাইটেড হেলথ গ্রুপ, ম্যাকেসন, সিভিএস হেলথ, অ্যামাজন, এটিঅ্যান্ডটি, জেনারেল মটরস সহ বিশ্বব্যাপী ফরচুন ৫০০ কোম্পানির প্রায় ৯০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান এসএপি ব্যবহার করে। বাংলাদেশে শতাধিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে তাদের বিজনেস প্রসেসে এসএপি বাস্তবায়ন করেছে।
এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন রশিদ এবং ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইজেনারেশন গ্রুপের নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল ইসলাম, এনার্জিপ্যাকের এলপিজি বিভাগের হেড অব অপারেশন নাওয়িদ রশিদ, মোটর ভেহিকল বিভাগের এজিএম ফাইয়াজ হাসান চৌধুরি, হেড অব আইটি অ্যান্ড ইআরপি ওয়াহিদ সাদাত চৌধুরি, ইজেনারেশন লিমিটেডের এসএপি টিম লিডার শামিম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
হুমায়ুন রশিদ বলেন, এনার্জিপ্যাক শুধুমাত্র তার ভালোমানের এনার্জি সেভিং পণ্যের জন্য নয়, পাশাপাশি এর সেবার মানের ক্ষেত্রেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বদ্ধ পরিকর। ইজেনারেশন এর মত একটি স্থানীয় কোম্পানি এসএপিতে সক্ষমতা তৈরি করাতে এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা প্রত্যাশা করি, এসএপি সল্যুইশন এনার্জিপ্যাকের কার্যক্রম আরো গতিশীল করবে এবং আন্তর্জাতিক মার্কেটে নেতৃত্বদানকারি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করবে।
শামীম আহসান বলেন, ইজেনারেশনের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে এসএপি কনসালটিং সেবার হাব হিসেবে তৈরি করা। গতবছর, ভারতের এসএপি পার্টনার কোম্পানিগুলো এসএপি কনসালটিং সেবার মাধ্যমে ৪০ বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করেছে। বাংলাদেশ যদি ৭-৮ হাজার এসএপি সার্টিফায়েড দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারে তাহলে এসএপি কনসালটিং সেবার মাধ্যমে আমরা এক বিলিয়ন ডলার রফতানি আয় করতে পারবো। এছাড়া, স্থানীয় বৃহত্তম বাণিজ্যক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিবছর এসএপি কনসালটিং সেবার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশি এসএপি কনসালট্যান্টদের পরিশোধ করে। এই সকল অর্থ দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে, এমনকি ঐসব কনসালট্যান্টরা ইচ্ছাকৃতভাবে স্থানীয় কনসালট্যান্টদের সাথে জ্ঞা ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করছে না।