আমাদের সময় এসেছে স্টার্টআপ কালচার তৈরির পাশাপাশি স্বনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার। আমাদের যত রকম সমস্যা আছে ই-কমার্স, স্বাস্থ্য, শিক্ষা সকল ক্ষেত্রে দেশিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেদের উদ্যোক্তাদের দ্বারা সমাধান করতে চাই।
বৃহস্পতিবার ভাচুয়ালি জিপি অ্যাকসেলেরেট ৩.০ উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
দেশে কয়েকবছরে স্টার্টআপের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৭-৮ বছরে দেশে আড়াই থেকে তিন হাজার স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে। সকল স্টার্টআপ মিলে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে দেশে। সিলিকন ভ্যালি, ইন্ডিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানসহ বিশ্বের নানা দেশ থেকে। গেমিং সেক্টরেও মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ আসছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান। জিপি অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের মাধ্যমে কোভিডের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘গ্লোবাল ফার্স্ট’ বাংলাদেশি স্টার্টআপগুলোয় সহায়তায় এ বছরের শুরুতে গ্রামীণফোনের সাথে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম তৈরিতে অগ্রণী তিন প্রতিষ্ঠান বেটারস্টোরিজ লিমিটেড, লাইটক্যাসেল পার্টনার্স এবং আপস্কিলের মধ্যে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বারো মাসব্যাপী চলমান প্রোগ্রাম জিপি অ্যাকসেলেরেটর ৩.০ আয়োজনের মাধ্যমে দেশের সেরা স্টার্টআপ খুঁজে বের করার পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রির চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে উপযুক্ত রিসোর্স প্রদানের মাধ্যমে তাদের সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষ্যে শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন ও দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নির্মাণকারী এই তিন প্রতিষ্ঠান অংশীদারিত্ব করেছে।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেকদূর এগিয়েছি। এখন পর্যন্ত এ যাত্রায় দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল চাহিদা মূল্যায়নে এবং তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক সমাধান প্রদানে জিপি অ্যাকসেলেরেটরের ৪৪টি স্টার্টআপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের পার্টনাদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে দেশের মেধাবীদের সম্ভাবনা উন্মোচনে সহায়ক ইকোসিস্টেম তৈরির ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।”