ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে ব্যবসা গড়ে উঠছে। তার নাম ই-বাণিজ্য, অনেকেই এই ব্যবসা করছে। কিন্ত এর জন্য কোন নিয়ম নাই, আইন নাই। ই-বাণিজ্যর যে প্রসার ঘটেছে, কিন্ত আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। ই-বাণিজ্য নীতি বাস্থবায়ন করতে হবে। এইটা না হলে সরকার, প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের চেয়ারপর্সন হাসানুল হক ইনু।
শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চতুর্দশ বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন এই কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের অর্থনীতির যে উন্নয়ন ঘটছে তা তিনটি স্তম্ভের উপর এগিয়ে যাচ্ছে। যেমন, গ্রামের চাষী সমাজ, পোশাক শিল্পের ৪০ লাখ নারী কর্মী, প্রবাসী কর্মী। ১৬ কোটি মানুষের দেশে মানবসম্পদ হচ্ছে প্রধান পুঁজি। বাংলাদেশকে যদি সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় এই তিন স্তম্ভ যথেষ্ট নয়। ৪ নম্বর স্তম্ভ হচ্ছে তথ্য ও যোগােযাগ প্রযুক্তির প্রশিক্ষত ও শিক্ষিত কর্মী।
তিনি আরো বলেন ইন্টারেনট ব্যবহার করার দক্ষতা যে সমাজের আছে সে সমাজ এগিয়ে যাবে। সুতরাং আমাদের চতুর্থ স্তম্ভ ইন্টারনেট। ইন্টারনেট অর্থনীতির মানচিত্র পরিবর্তন করে দিচ্ছে। মানচিত্র পরিবর্তন হলে কেউ দরিদ্র থাকবে না।
হাসানুল হক ইনু বলেন, নতুন প্রযুক্তি হচ্ছে সাইবার জগত। এর ফলে এক জন অন্য জনকে আক্রমন করছে, এক দেশ অন্য দেশকে আক্রমন করছে। এইটা মোকাবেলাও আমাদের করতে হবে। সাইবার জগত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ইনু বলেন, ইন্টারনেটের সুফল ভোগ করতে হলে তিনটি অজ্ঞতা দূর করতে হবে, সেগুলো হলো, ভাষা, তথ্য ও যোগাযােগ, তথ্য অজ্ঞতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমরা এখন চতুর্থ শিল্পে প্রবেশ করেছি, কিন্ত তৃতীয় শিল্পের অনেক কাজ অসমাপ্ত হয়েছে। সব কিছুই একসাথে করতে হবে।
ডিজিটাল সমাজে অনেক আইনকানুন নাই। ভুয়া খবর ছড়িয়ে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ইন্টারনেট হাতে থাকলে আপনে রাজা, না থাকলে আপনে ফকির। ইন্টারনেট একটি মৌলিক অধিকার। সাথে সাথে সাইবার নিরাপত্তা দরকার। না হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। সবাই মিলে আমাদের নিরাপদ ইন্টারনেট গড়ে তুলতে হবে।