নতুন বছরের দিন লাস ভেগাসে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের বাইরে টেসলা সাইবারট্রাক বিস্ফোরণের পেছনে থাকা অভিযুক্ত সেনা সদস্য চ্যাটজিপিটির সাহায্যে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। খবর সিবিএস।
মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীর মাস্টার সার্জেন্ট ম্যাথিউ লাইভেলসবার্গার বিস্ফোরণে প্রয়োজনীয় বিস্ফোরকের পরিমাণ, আতশবাজি কেনা এবং পরিচয় গোপন রেখে মোবাইল ফোন সংগ্রহের পদ্ধতি জানতে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছিলেন বলে লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিশের শেরিফ কেভিন ম্যাকমাহিল এক সংবাদ সম্মেলনে জানান। তিনি বলেন, “এআই প্রযুক্তি আমাদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে, এবং এটি সেই পরিবর্তনের প্রথম ঘটনা যেখানে চ্যাটজিপিটি এ ধরনের সহায়তা করেছে।”
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআই-এর একজন মুখপাত্র সিবিএস নিউজকে জানান, “আমাদের মডেলগুলো ক্ষতিকারক নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করতে এবং ক্ষতিকারক কনটেন্ট কমাতে ডিজাইন করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে, চ্যাটজিপিটি কেবল ইন্টারনেটে আগে থেকেই উপলভ্য তথ্য সরবরাহ করেছে এবং ক্ষতিকারক বা অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করছি।”
বিস্ফোরণের নতুন তথ্য
লাস ভেগাস পুলিশ এবং অ্যালকোহল, তামাক, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক ব্যুরোর (এটিএফ) কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, লাইভেলসবার্গার সাইবারট্রাকের উপর রেসিং ফুয়েল ঢালছিলেন, যা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে ঠিক কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছিল, তা এখনও নিশ্চিত নয়। ধারণা করা হচ্ছে, লাইভেলসবার্গার যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন, সেটির মুজল ফ্ল্যাশ বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে।
পুলিশ লাইভেলসবার্গারের ফোনে পাওয়া একটি নোটের উল্লেখ করেছে, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, কেউ তাকে অনুসরণ করছে। নোটটি তার কর্মকাণ্ডের বিবরণ সংবলিত একটি ব্যক্তিগত ডায়েরির মতো ছিল।
তদন্তে জানা গেছে, লাইভেলসবার্গার তার পরিকল্পনা আরিজোনার গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের গ্লাস স্কাইওয়াকে বাস্তবায়নের কথা ভেবেছিলেন। তবে কখন এবং কেন তিনি পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছেন, তা জানা যায়নি।
মানসিক স্বাস্থ্য এবং তদন্ত চলমান
এফবিআই জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি সম্ভবত আত্মহত্যা ছিল। তদন্তে দেখা গেছে, লাইভেলসবার্গার সম্ভবত পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি) এবং পারিবারিক সমস্যায় ভুগছিলেন, যা তার এই কাজের পেছনে ভূমিকা রাখতে পারে।
লাইভেলসবার্গারের কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস ছিল না, এবং বিস্ফোরণের আগে তিনি এফবিআই বা লাস ভেগাস পুলিশের নজরে ছিলেন না।
ডিবিটেক/বিএমটি