যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের তৈরি ‘লিগ্যাসি’ সেমিকন্ডাক্টর চিপসের ওপর নতুন একটি বাণিজ্যিক তদন্ত শুরু করেছেন। এই তদন্তের লক্ষ্য পুরনো চিপসগুলোর ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা, যা গাড়ি, টেলিকম সরঞ্জাম এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্যে ব্যবহৃত হয়। খবর রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) ক্যাথরিন তাই জানিয়েছেন, চীনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চিপ সরবরাহ বাড়ানোর পদক্ষেপের কারণে এই তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ তদন্ত আমেরিকান এবং অন্যান্য সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদকদের সুরক্ষার জন্য।
বাইডেন প্রশাসন জানায়, আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব গ্রহণের পর এই তদন্ত সম্পন্ন করবেন। ট্রাম্প চীনা আমদানির ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের যে হুমকি দিয়েছেন, এ তদন্ত তার সেই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের সুযোগ এনে দিতে পারে।
বাইডেন ইতোমধ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। পাশাপাশি, এআই এবং মেমোরি চিপ ও চিপ নির্মাণ সরঞ্জামের রপ্তানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন।
লিগ্যাসি চিপগুলো এক দশকেরও বেশি পুরনো প্রযুক্তিতে তৈরি, যা এআই বা উন্নত মাইক্রোপ্রসেসরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে সহজ। তবে এই পুরনো প্রযুক্তির চিপসই যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ পণ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো জানিয়েছেন, দুই-তৃতীয়াংশ মার্কিন পণ্যে চীনের তৈরি লিগ্যাসি চিপ ব্যবহার করা হয় এবং অর্ধেক মার্কিন কোম্পানি চিপের উৎস সম্পর্কে অবগত নয়। এমনকি, প্রতিরক্ষা শিল্পেও এর ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে রয়েছে।
অন্যদিকে, চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই তদন্তকে ‘সুরক্ষাবাদী’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এটি আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ক্ষতি করবে এবং বৈশ্বিক চিপ সরবরাহ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করবে। তারা জানিয়েছে, নিজেদের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সংস্থার দাবি, চীন সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে বৈশ্বিক আধিপত্য স্থাপন করতে চায় এবং তাদের কৃত্রিমভাবে কম দামি চিপ বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
ডিবিটেক/বিএমটি