নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী ঘোষণার পর বিটকয়েনের মূল্য রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে একটি কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছেন, যা দেশের তেল রিজার্ভের মতোই হবে। এই ঘোষণার পরই ক্রিপ্টো বাজারে ব্যাপক চাঙাভাব দেখা গেছে।
বিটকয়েনের দাম সোমবার এক লাফে ১,০৭,১৪৮ ডলার ছুঁয়েছে এবং সর্বশেষে এটি ৫.৪৩ শতাংশ বেড়ে ১,০৬,৮৭৭ ডলারে লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে, ইথেরিয়ামের মূল্যও ১.৮৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৭৫.৭০ ডলারে। খবর আল জাজিরা।
ট্রাম্প সম্প্রতি সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমরা ক্রিপ্টো নিয়ে কিছু অসাধারণ কাজ করতে যাচ্ছি। কারণ আমরা চাই না চীন বা অন্য কোনো দেশ আমাদের থেকে এগিয়ে থাকুক। আমরা নেতৃত্বে থাকতে চাই।”
বিশ্বব্যাপী সরকারগুলো বিটকয়েনের মোট সরবরাহের প্রায় ২.২ শতাংশ ধরে রেখেছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে প্রায় ২ লাখ বিটকয়েন রয়েছে, যা বর্তমান বাজারমূল্যে ২০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘোষণার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে ব্যাপক হতে পারে, যদিও বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে। পেপারস্টোনের গবেষণা প্রধান ক্রিস ওয়েস্টন বলেন, “কৌশলগত বিটকয়েন রিজার্ভ তৈরি নিয়ে এখনই আশাবাদী হওয়া ঠিক হবে না। তবে ট্রাম্পের যেকোনো ইতিবাচক মন্তব্য অবশ্যই বাজারে উৎসাহ যোগাবে।”
নভেম্বরের মার্কিন নির্বাচনের পর থেকে বিটকয়েনের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। ট্রাম্পের প্রো-ক্রিপ্টো অবস্থান এবং তার প্রশাসনের সম্ভাব্য বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে। পুরো ক্রিপ্টো বাজারের মূল্য এ বছর প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলারের রেকর্ড ছুঁয়েছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি প্রাক্তন পেপ্যাল এক্সিকিউটিভ ডেভিড স্যাক্সকে এআই ও ক্রিপ্টো বিষয়ক হোয়াইট হাউসের দায়িত্বে নিয়োগ দিয়েছেন এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রো-ক্রিপ্টো আইনজীবী পল অ্যাটকিনসকে মনোনয়ন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী ক্রিপ্টো বাজারকে আরও স্থিতিশীল করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির বিশ্ব নেতৃত্বে নিয়ে যেতে পারে।
ডিবিটেক/বিএমটি