গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। পরের দিন, অর্থাৎ ৬ তারিখ ভোটের ফল ঘোষণা হলে দেখা যায় ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকান প্রার্থীর কুর্সি দখলের খবর মিলতেই দেশ ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে।
সূত্রের খবর, ট্রাম্প বিদ্বেষীদের অধিকাংশই উত্তরের প্রতিবেশী রাষ্ট্র কানাডাকে এর জন্য বেছে নিয়েছেন। সেখানে দ্রুত কীভাবে পৌঁছনো যাবে, তা জানতে শুরু হয়েছে ইন্টারনেটে তথ্যানুসন্ধান।
এ ব্যাপারে বিশেষ একটি বাক্য ব্যবহার করছেন দেশত্যাগে ইচ্ছুক ট্রাম্প-বিরোধীরা। তা হল, ‘কীভাবে কানাডায় যাওয়া যাবে’ (হাউ টু মুভ টু কানাডা)। ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিন গুগলে এই কথাটি লিখে তথ্যানুসন্ধান করছেন তাঁরা।
কানাডায় আশ্রয়ের খোঁজ করা আমেরিকানদের অধিকাংশই অভিবাসী বলে জানা গিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। আর সেই ভয়েই আগেভাগে তাঁরা দেশ ছাড়তে চাইছেন বলে জানা গিয়েছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তার পরেই রাজধানী ওয়াশিংটনের ‘শ্বেত প্রাসাদ’-এ (হোয়াইট হাউস) পা পড়বে তাঁর। কুর্সিতে বসেই বিপুল সংখ্যায় অভিবাসী ও শরণার্থীদের আমেরিকা ছাড়তে বাধ্য করতে পারেন তিনি।
ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিন গুগ্লের ট্রেন্ড অনুযায়ী, গত ৫ নভেম্বর ‘কীভাবে কানাডা যাওয়া যাবে’র তথ্যানুসন্ধান এক লাফে ৪০০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ট্রাম্পের মূল প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটিক পার্টির গড় হিসাবে চিহ্নিত রাজ্যগুলোর অভিবাসীদের মধ্যে এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করতে দেখা গেছে। সেই তালিকায় একেবারে শীর্ষে রয়েছে ওয়াশিংটন, ওরেগন ও ভারমন্ট।
গুগল ট্রেন্ড জানিয়েছে, ট্রাম্পের জয় যত নিশ্চিত হয়েছে ততই বেড়েছে এই ধরনের সার্চ। কখন কখনও এতে পাঁচ হাজার শতাংশ বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। আগামী আরও কয়েক দিন এই প্রবণতা বজায় থাকবে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
ডিবিটেক/বিএমটি