সম্প্রতি ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারতের জনপ্রিয় স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান কুণাল কামরা। তাঁকে পালটা জবাব দেন সংস্থার সিইও ভাবিশ আগরওয়াল। কার্যত চলে নেটযুদ্ধ। তারপরই ধস নামে সংস্থার শেয়ারে, পড়ে যায় ৪৩ শতাংশ। যা নিয়েও হইচই কম হয়নি। ফের শেয়ার নামে ৮ শতাংশ। খবর দ্য ওয়াল।
সম্প্রতি ভাবিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওলা গিগা ফ্যাক্টরির একটি ছবি পোস্ট করেন। সেই পোস্টে কুণাল কামরা আবার ওলা ইলেকট্রিক স্কুটারের ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে স্পষ্ট, স্কুটারগুলো সারাইয়ের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
ছবির ক্যাপশনে কুণাল কামরা লেখেন, ‘এটাই কি ভারতীয় ক্রেতারা বলতে চাইছেন? এটাই কি তাঁদের প্রাপ্য? দু’চাকার যানবাহন প্রচুর নিম্নবিত্তের জীবনযাপনে বড় ভূমিকা পালন করে।’ এখানেই শেষ নয়। কুনাল কামরা এই পোস্টের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িকেও ট্যাগ করেছেন। তাঁর কাছে জানতে চেয়েছেন, ‘এমন ব্যাটারিচালিত গাড়িই কি ভারতীয় ক্রেতারা ব্যবহার করবেন?’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘ওলা ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে যদি আপনাদের কারও কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে নীচের প্রত্যেক ব্যক্তিকে ট্যাগ করতে পারেন।’
এরপরই শুরু হয় ঝামেলা। এমন পোস্ট চোখে পড়তেই রীতিমতো তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন ভাবিশ আগরওয়াল। জবাবে তিনি লেখেন, ‘যেহেতু আপনি আমাদের ব্যাপারে এতটা চিন্তাভাবনা করেন, তাহলে এগিয়ে আসুন এবং আমাদের সাহায্য করুন! আমি দেগ্আপনার ব্যর্থ কেরিয়ারের থেকেও বেশি টাকা দিতে প্রস্তুত। যদি সেটা না পারেন, তাহলে চুপ করে থাকুন। ক্রেতাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই ঠাণ্ডা মাথায় করতে দিন।’
ওলা সংস্থার সিইও আরও যোগ করেছেন, ‘যতটা দ্রুত সম্ভব, আমরা নিজেদের সার্ভিস নেটওয়ার্ক আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আশা করছি, এই অপেক্ষার এই লম্বা লাইন শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে।’ তবে এখনও দুজনের মধ্যে নেটমাধ্যমে বাগযুদ্ধ লেগেই রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে ওলার ২৩ হাজার ৯৬৫টি স্কুটার বিক্রি হয়। কিন্তু তারপরই অভিযোগ আসতে শুরু করে। হার্ডওয়্যার সহ একাধিক সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়। কমে যায় বিক্রি। ধস নামে শেয়ারে।
ডিবিটেক/বিএমটি