এখন থেকে বিকাশ এর মাধ্যমে মুঠোফোনেই পেওয়ানিয়ারে জমা হওয়া আয়ের টাকা হাতে পাবেন স্বাধীন মুক্ত পেশাজীবিরা। দিনে ১৫ হাজার টাকার বেশি হলেও পেওনিয়ারের আয় মুহূর্তেই নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সাররা। আর আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বোচ্চ পেমেন্ট গ্রহণকারী পাবেন একটি করে মোবাইল ফোন। ১০ মার্চ পর্যন্ত মিলবে ২ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাবেন হিসাবধারী।
বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এই সেবার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
যৌথভাবে দেশে সেবাটি অবমুক্ত করেছেযুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম পেওনিয়ার, ব্র্যাক ব্যাংক এবং বিকাশ। ফলে দিন রাত ২৪ ঘন্টা যেকোন প্রান্তে বসে বিকাশে তাৎক্ষণিক পেমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ তৈরি হওয়ায় ফ্রিল্যান্সারদের আগের মতো পেমেন্টের জন্য আর দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হবে না।
বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশন্স শামসুদ্দিন হায়দার ডালিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিজিটাল সুবিধা কাজে লাগিয়ে গত ১৩ বছরে ২০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান করেছে সরকার। আর ২০২৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা ৫০ লাখে উন্নীত করা অভিপ্রায় নিয়ে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ।
বক্তব্যে ফ্রিল্যান্সারদের জন্য সরকারের নানা উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন প্রতিমন্ত্রী। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এর আগে আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের পেশাজীবি হিসেবে জাতীয় ভাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এরপর আইসিটি উপদেষ্টার তত্ত্বাবধানে আমরা এখন বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এনবিআর এর সঙ্গে বসে তাদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু সুবিধা প্রদান করছি। তারা ২০২৪ সাল পর্যন্ত তারা ব্যবসায় শুরু করতে আইটিইএস সেবা হিসেবে কর সুবিধা পাবেন। অপরদিকে তারা যে সেবা রপ্তানি করছে তার ওপর একক মুক্ত পেশাজীবি হিসেবে প্রণোদনা হিসেবে আয়ের ৪ শতাংশ অর্থ ফেরত পাচ্ছেন। এজন্য ৫৫টি অনলাইন আয়ের মার্কেট প্লেসের নামের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআর-এ জমা দেয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আরো বলেন, ‘আমি মনে করি আজ অষ্টম বৃহৎ সম্পদশালী দেশ বাংলাদেশ। সেই সম্পদটা হচ্ছে আমাদের তারুণ্যের মেধা। সেই সম্পাদটাকে আমরা যখন প্রযুক্তির শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করতে পেরেছি তখনই আমরা এই বাংলাদেশে ডিজিটাল বিপ্লব সাধন করতে পেরেছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মের যেই সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার এখন রয়েছে তারা বিশ্বে অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের ১৬ শতাংশ অবদান রাখছে। অনলাইন আউট সোর্সিংয়ে আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম আউটসোর্সিং দেশ।’
অনুষ্ঠানে উদ্বোধন হওয়া এই সেবাটি দেশের ফ্রিল্যান্সারদের পেমেন্ট গ্রহণ করার পথ যেমন সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে সেই সাথে দেশে বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রবাহকে আরো বৃদ্ধি করবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ব্র্যাক ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন।
রেগুলেটেড পদ্ধতিতে ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সহজে পেমেন্ট পাওয়ার এই পদ্ধতি ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা দূর করবে বলে মত দেন বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর।
বক্তব্যে ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্থনীতির মূল স্রোত ধারায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্বারোপ করেন বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন পেওনিয়ারের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার রবার্ট ক্লার্কসন ও রিজিওনাল সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট রহিম কুলকার্নি।