ইন্টারনেটে থাকা বির্তকিত ওয়েব সিরিজগুলোর অশ্লীল অংশ সরাতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেনো অবৈধ নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন বহির্ভূত ভিডিও’র অংশগুলি সরিয়ে ফেলতে এবং এসবের সঙ্গে পরিচালক-প্রযোজকসহ জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে অগ্রগতি প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ওয়েবভিত্তিক প্লার্টফর্ম নিয়ে একটি রেগুলেশন কেন তৈরি করা হবে না এর ব্যাখ্যা চেয়ে নেটফ্লিক্সের মতো অন্যান্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে কীভাবে সরকারি রেভিনিউ সংগ্রহ করা হয় তাও বিটিআরসি’র কাছে জানতে চেয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তানভীর আহমদ। আইজিপিসহ ৮ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে হাইকোর্টের আগের আদেশ অনুযায়ী, দেশে যারা অশ্লীল কনটেন্ট তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা প্রতিবেদন আকারে জানাতে আরও ৪ সপ্তাহের সময় দিয়েছেন আদালত। আদালতে দেশীয় ও বিদেশি ওয়েব সিরিজের অশ্লীল কনটেন্ট শুনানিতে তুলে ধরেন আইনজীবী।
এর আগে আরেকটি ভার্চুয়াল বেঞ্চ ইন্টারনেটে থাকা ওয়েব সিরিজগুলো থেকে অশ্লীল অংশ এক সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে গত ১৫ জুলাই নির্দেশ দিয়েছিলেন।