স্টাডিয়া ক্লাউড গেমিং সার্ভিস বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। সংশ্লিষ্ট গেমারদের সব টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে তারা। ২০১৯ সালে যাত্রা শুরুর সময় স্টাডিয়াকে বলা হচ্ছিল ‘নেটফ্লিক্স ফর গেমস’। কনসোল না থাকলেও গেমাররা অনলাইনে স্ট্রিম করে গেমস খেলতে পারেন এই সার্ভিসে। গুগল ডাটা সেন্টারের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে স্টাডিয়া গেমস স্ট্রিমিং হতো। টিভি কিংবা মোবাইল ডিভাইসেই এই গেম খেলা যায়।
কিন্তু এই সুবিধা থাকছে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপরই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেবাটি। এর মধ্যে যারা স্টাডিয়া কনট্রোলার কিনেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। টাকা ফেরত পাবেন গেমস এবং অ্যাড-অন কেনা গেমাররাও। জানুয়ারির মাঝামাঝিই তারা রিফান্ড পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছে গুগল।
স্টাডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফিল হ্যারিসন এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছেন, ‘কয়েক বছর আগে আমরা স্টাডিয়াকে বাজারে নিয়ে আসি। গ্রাহকদের জন্য স্ট্রিমিং গেমের ক্ষেত্রে স্টাডিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি একটি শক্তিশালী প্রযুক্তিগত ভিত্তির ওপর নির্মিত হলেও এটি ব্যবহারকারীদের সঙ্গে আমাদের প্রত্যাশামাফিক আকর্ষণ অর্জন করতে সমর্থ হয়নি। এখন এই স্ট্রিমিং সার্ভিসটি বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হচ্ছে।’
তিনি জানান, তারা প্রত্যাশা অনুযায়ী ট্র্যাকশন অর্জন করতে পারেনি। স্টাডিয়া টিমের অনেক কর্মচারীকে কোম্পানির অন্যান্য অংশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা টিমের গ্রাউন্ডব্রেকিং কাজের জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ এবং আমরা ফাউন্ডেশনাল স্টাডিয়া স্ট্রিমিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে গেমিং এবং অন্যান্য শিল্পজুড়ে প্রভাব অব্যাহত রাখতে উন্মুখ।’
প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গুগল খুব দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি রিপোর্টগুলো থেকে জানা যায় যে, ঘোষণার কয়েক মিনিট আগে পর্যন্ত স্টাডিয়া কর্মীদের সতর্ক করেনি। স্টাডিয়া শিরোনাম নিয়ে কাজ করা ডেভেলপদেরও অবহিত করা হয়নি। এর আগেও স্টাডিয়া গেমিং সার্ভিস বন্ধের গুঞ্জন উঠেছিল। ২০২২ সালের আগস্টে ওঠা গুঞ্জন তখন না করে দিয়েছিল গুগল। তখন বলা হয়েছিল, প্রযুক্তি জায়ান্টটি ২০২২ সাল শেষে তাদের এ গেমিং প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেবে।