বাংলাদেশ ডিজিটাল নেতৃত্বের পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমাদের দুশ্চিন্তাগুলো আনন্দের বিষয় হতে যাচ্ছে ।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আজকের এই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’ তার জন্মশত বার্ষিকী উৎসব উদযাপনের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় আয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই দেশ আইটিইউ সদস্য প্রাপ্তি পেয়েছে। বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছিলো। সেই ডিজিটাল স্বপ্ন পূরণের পথ ধরেই তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার দৌহিত্র আইসিটি উপদেষ্ট সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে আমরা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের মডেল হয়েছি। আমাদের পরে ব্রিটেন, ভারত, মালদ্বীপ এবং পাকিস্তান ডিজিটাল স্লোগান চালু করেছে। লাঙল-জোয়ালের ক্ষেত্রে আমরা ডিজিটাল নেতৃত্বের পর্যায়ে রয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, ইতিহাস প্রমাণ দেয় অসম্ভব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ। দেশের মেধাবী তরুণদের নিয়েই আমরা আগামীতে জয়ী হবো। তার শুরু ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। এখন দেশে আমদানিকৃত ৩ কোটি মোবাইল ফোনের মধ্যে ২ কোটি দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। আমাদের দেশের ২-৩ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা এখন রোবট বানায়। মেলায় এসব অর্জনের কিছুটা উপস্থাপন করা হচ্ছে।
জব্বার বলেন, আমরা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের যেসব প্রতিষ্ঠানকে দাফন করার পর্যায়ে পৌঁছেছিলাম। সেসব প্রতিষ্ঠান এখন ঘুড়ে দাঁড়াচ্ছে। গৌরব বয়ে আনছে। আমাদের দুর্বলতম মোবাইল অপারেটর টেলিটক ২০২১ সালনাগাদ দেশের প্রধানতম অপারেটর হতে যাচ্ছে। আমাদের দুশ্চিন্তাগুলো আনন্দের বিষয় হতে যাচ্ছে। এখন বিএসসিসিএল, বিসিএসসিএল, বিটিসিএল, টেশিস নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায়, এগুলো এখন সফল প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।
বক্তব্যে উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আপনার মাধ্যমেই বাংলাদেশ নতুন যুগ ও নতুন সভ্যতায় প্রবেশ করেছে।
তিনি আরো বলেন, এই মেলায় ফাইভজি প্রযুক্তি কীভাবে কাজ করে তা সরাসরি দেখা যাচ্ছে। ফাইভজির টাওয়ার, ডিভাইস নেটওয়ার্কিংসহ এই প্রযুক্তি বিস্তারিত তুলে ধরা হচ্ছে। ফাইভজি ছাড়াও মেলায় বিভিন্ন ভবিষ্যত প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ডিভাইস উপস্থাপন করা হয়েছে।