কোভিড-১৯ মহামারি শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম ব্যবহার বাড়ানোর জন্য নতুন একটি দিগন্ত উন্মোচিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ই-লার্নিং’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি বাংলাদেশ-এর উপাচার্য প্রফেসর ড. কারম্যান জেড লামাংনা, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মুরাদ হোসেন মোল্লা, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি’র ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. খাজা ইফতেখার উদ্দিন আহমদ, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং অ্যান্ড ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইশতিয়াক আজিম ওয়েবিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বর্তমান সময়ে ‘ই-লার্নিং’ অত্যন্ত কার্যকর এবং সামনের দিনগুলোতে এটি আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে। তাই আমাদের বর্তমান শিক্ষানীতি ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছে, সেটাকে যুগোপোযোগীকরণ এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষানীতিতে ই-লার্নিংকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
দেশের মানুষ অত্যন্ত প্রযুক্তিবান্ধব হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রমে ই-লার্নিংয়ের ব্যবহার বৃদ্ধিতে খুব বেশি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, সামনের দিনগুলোতে ক্লাসরুমে সরাসরি শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম চালু রাখতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে ‘ই-লার্নিং’ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভমিকা রাখবে।
স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ বলেন, ইউনেস্কোর হিসাব অনুযায়ী কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সারা বিশ্বে ১.৩৭ বিলিয়ন শিক্ষার্থীর স্বাভাবিক শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার জন্য প্রথাগত শিক্ষাদান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ায় নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে ই-লার্নিং নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে এবং ই-লার্নিংকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় শিক্ষা নীতিতে ‘ই-লানিং পলিসি’ অন্তর্ভুক্তকরণ, সারাদেশে নির্ভরযোগ্য হাই স্পিড ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন, ইন্টারনেট ব্যবহারের উপর ভ্যাট ও ট্যাক্স হ্রাসকরণ, ই-লার্নিং-এর বিকাশের সঙ্গে যুক্ত স্টার্টআপগুলোকে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া এবং ব্যাংক অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা অত্যন্ত জরুরি।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে যুক্তরাজ্যের ‘ইউনির্ভাসিটি অব সারে’-এর উপ-উপাচার্য প্রফেসর ওসামা খান বলেন, ই-লার্নিংয়ের ক্ষেত্রে সেবা প্রদানের জন্য ইন্টারনেটের পাশাপাশি রেডিও, টেলিভিশন, মোবাইল ও পোষ্টাল সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এজন্য ভার্চুয়াল লার্নিং ইনভায়রনমেন্ট খুবই জরুরি।
