ইভ্যালি পরিচালনার জন্য উচ্চ আদালত থেকে সাবেক বিচারপতিসহ পাঁচজনকে দায়িত্ব দেওয়ার একদিন পরই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির তদন্ত গুটিয়ে নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদের এ বিষয়টি নিশ্চিত হরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ই-কমার্স বা ইভ্যালির দুর্নীতি দুদকের শিডিউলভুক্ত অপরাধ নয়। মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টি দেখে আমরা আমলে নিয়েছিলাম। এখন মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়টিসহ অন্য সংস্থা তদন্ত করবে।’
এর আগে গত নভেম্বর থেকে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ইভ্যালির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছিল দুদক। এমনকি তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রাসেলের বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ইভ্যালির বিষয়ে তদন্ত শুরু হলেও চলতি বছরের জুলাইয়ে এসে তা গতি পায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইভ্যালির মানি লন্ডারিংয়ের বিষয়ে তদন্তে নামে দুদক।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ইভ্যালির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা শামীমা নাসরিন ও রাসেলকে গ্রেফতার করে র্যাব। অর্থ নিয়ে যথাসময়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ায় গুলশান থানায় দায়ের করা একজন গ্রাহকের মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর একে একে তাদের বিরুদ্ধে আরও অন্তত ছয়টি মামলা হয়েছে।