গল্প করতে করতেই গণিত ও ইংরেজি শেখা। শিশুর অনুসন্ধিৎসু মন হয়ে ওঠে উৎফুল্ল। জাপানি এই কুমন শিক্ষাপদ্ধতি বাড়িয়ে দেয় অনুধাবন ক্ষমতাও। ফলে ‘পাঠ’ হয়ে ওঠে ঠাকুমার ঝুলি। ফল ঘোষণার দিন তাই পরিণত হয় জলসা ঘরে। গানে গানে শিশুদের জন্য সবুজ বাগান গড়ে তোলার প্রত্যয় সবার মাঝে ভাগ করে নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শৈশবের গণিত ভীতির কথা মনে করেই হয়তো গানে গানে শিশুদের সাথে মেতে ওঠেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি। উপস্থিত শিশুরাও গলা মেলায়। বাদ যাননি অভ্যাগত অতিথিরাও। এই গানের আসরে সবশেষ যোগ দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি। তার কণ্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীত যেনো বাংলা-কে ছড়িয়ে দিলো বিশ্বময়।
যদিও অনুষ্ঠানটি ছিলো ব্র্যাক কুমন অ্যাডভান্স স্টুডেন্ট অনার রোল এর পুরস্কার বিতরণী। রাজধানীর অদূরে সাভারের বিরুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএম মিলনায়তন সেজেছিলো বর্ণিল সাজে। ফল প্রাপ্তির দিনে ছিলো না কোনো হতাশা। একই ছাত্র পেয়েছেন একাধিক স্বর্ণপদক-রৌপ্য এবং ব্রোঞ্জ।
শনিবারের এই শিক্ষা-ফল ঘোষণা তাই মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। দেশের ৫টি কুমন স্কুলের ৩৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮৪ জনের গলায় স্বর্ণ পদক ঝুলিয়ে দেন অতিথিরা। এর আগেই রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক পরিয়ে দেয়া হয় বাকি শিক্ষার্থীদের।
ব্র্যাক প্রধান নির্বাহী আসিফ সালেহ’র সভাপতিত্বে মঞ্চে এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক কুমন ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা সারওয়াত আবেদ।
ব্র্যাক কুমন প্রধান নির্বাহী নাহিদ বিন হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় বেসবল দলের হেড কোচ হিরোকি ওয়াতানাবে, জাইকা ও জেট্রোর শীর্ষ কর্মকর্তারা। নাহিদ হাসান জানান, আগামী বছরের মধ্যে দেশে আরো ১২টি কুমন সেন্টার খোলা হবে। চালু করা হবে ডিজিটাল কুমনও।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কুমন শিক্ষা শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগের অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।