ত্রুটি খুঁজে তা সমাধানে দেশের তুমুল জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো প্রত্রিকার অনলাইনে একটি বার্তা ঝুলিয়ে দিয়েছে হ্যাকার। সোমবার সকালে ওয়েবাইটে ঝুলিয়ে দেয়া ওই ‘জরুরী সতর্ক বার্তা’য় জানানো হয়েছে, প্রথম আলো অনলাইনে ব্যবহৃত কুইনটাইপ টেকনলজিকস ইন্ডিয়া লিমিটেডের তৈরি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিএমএস)-এ গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ত্রুটি রয়েছে।
সম্পাদক মতিউর রহমানকে সম্বোধন বলা হয়েছে, টুলটি ব্যবহার করে অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রথম আলোর পূর্বপ্রকাশিত কোন সংবাদ বা তথ্য পরিবর্তন, পরিমার্জন বা নতুন কোন মিথ্যা তথ্য সংবাদ আকারে প্রকাশ করে প্রথম আলোর বিশ্বাসযোগ্যতা ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মধ্যে গুজব ছড়াতে পারে।
এই ত্রুটি সারাই করতে এটি মেইল ঠিকানাও দিয়েছে হ্যাকার বা হ্যাকার দল। তবে ওয়েসাইটের কোনো ক্ষতি করেনি। এর ফলে অনেকেই একে ইথিক্যাল হ্যাকিং বলছেন। কেউবা বলছেন, এরা সেলস মার্কেটিং হ্যাকার। তাদের মতে, অনুমতি ছাড়া কোন কিছু করা কোন সময় হোয়াইট হ্যাট হ্যাকিং হতে পারে না।
এ বিষয়ে প্রথম আলো’র কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাড়ে ১১টার দিকে সমস্যা’র সমাধান করে ফেলেছে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার ও সাইবার বিশেষজ্ঞ তানভির সৌরভ জানান, বাংলাদেশের অধিকাংশ নিউজ ওয়েবসাইটই হ্যাকেবল। অনেক বছর ধরেই প্রথম আলো-তে প্রবলেম ছিল। কিছু ইসরাইলি সিস্টেম ইউজ করে এই লুপ হোল কাজে লাগিয়ে কিছু কন্টেন্ট চেঞ্জ করা হয়েছে আগে। যতদূর বুঝতে পেরেছি এই হ্যাকিং কাজটা বাংলাদেশ থেকেই হয়েছে। একক নয়; কোনো একটি ইথিক্যাল হ্যাকার দল এই কাজ করেছে।
কীভাবে ইথিক্যাল হ্যাকিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া হোয়াইট হ্যাট হ্যাকিং হতে পারে। এরা ক্ষতি করবে না কখনো। বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম যেভাবে কাজ করে। গ্লোবালি হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা ইথিকালি করে, কারণ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে বাগ বাউন্টি প্রোগ্রাম থাকে। ওরাই এটা চায়।