সোমবার ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’–এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করেই আইনের খসড়াটি অনুমোদন করা নিয়ে আলোচনা চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় নিজেই বিষয়টি উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে অংশীজনদের ডেকে আলাপ-আলোচনা করা হবে।
তিনি বলেছেন, ৩ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। এবার যাতে সংসদ অধিবেশনে উঠতে পারে, সে জন্যই গতকাল মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অবশ্যই সংসদীয় কমিটিতে অংশীজনদের ডেকে প্রস্তাবিত এ আইন নিয়ে আলাপ-আলোচনা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে যেসব মতামত দেওয়া হয়েছে, সেগুলো আমলে নেওয়া হয়েছে এবং আরও নেওয়া হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে (ওয়েবসাইটে খসড়া দেওয়ার পর) যেসব মতামত দেওযা হয়েছে, সেগুলো একসঙ্গে করে সবকিছু সংসদীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করা হবে। যাঁরা বক্তব্য জানাতে চাচ্ছেন, তাঁদের সংসদীয় কমিটিতে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। গতবারের (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময়) মতো বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অজামিনযোগ্য ধারা ১৪টি। ধারাগুলো হলো ১৭, ১৯, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৬, ২৭, ২৮, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ ধারা। ৭ আগস্ট সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়ার সময় সেখান থেকে ৮টি ধারা জামিনযোগ্য করা হয়েছিল। এগুলো হলো ২২, ২৩, ২৪, ২৬, ২৮, ৩১, ৩২ ও ৩৪ ধারা। আর এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় নতুন করে ২১ ও ৩০ ধারাও জামিনযোগ্য করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে জামিনযোগ্য ধারাগুলো হলো ১৮ (১) (খ), ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২ ও ৪৬। নতুন করে জামিনযোগ্য করা ২১ ধারায় সাজা কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে অর্থদণ্ড সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা আগের মতোই রাখা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই ধারায় সাজা ছিল সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড বা ১ কোটি টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।