আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে ১০০ টি হাইটেক পার্ক তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপেক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এছড়াও ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মতো বিষয়ে নারীদের প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত রয়েছে সরকারের আইসিটি বিভাগ। এরই মধ্যে আড়াই লক্ষ তরুণীকে দেয়া হয়েছে আইটি প্রশিক্ষণ। দেশেই থৈরি হচ্ছে ল্যাপটপ। চাইলেই স্বল্পমূল্যে তারা সেগুলো কিনতে পারবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
নারী সংগঠন পপ অফ কালারের উদ্যোগে শুক্রবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে আনুষ্ঠিত নারীদের এক সম্মেলনে এই তথ্য জানান হাইটেক পার্ক ব্যস্থাপনা পরিচালক।
সম্মেলনে বিভিন্ন খাতের ৬ শতাধিক নারী অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে বিভিন্ন বিষয়ের উপর ৭টি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সাইবার সুরক্ষা, পুষ্টি, উদ্যম ও স্পৃহা এবং ক্যারিয়ার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, দেশের প্রথম নারী মেজর জেনারেল সুসানে গীতি, বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি ফরিদা ইয়াসমিন সহ বিভিন্ন সেক্টরের খ্যাতনামা ব্যাক্তিত্ব।
প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশে নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ আমরা সবাই। এখন পুরুষের সাথে সাথে নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিকে নারীদের এই শক্তি আরো বৃদ্ধি পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, আমরা আজকে যে নারীর অগ্রযাত্রা দেখছি তার মূল অবদান আমাদের সরকারের। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন নারীদেরকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন প্রত্যেক নারীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে হবে। আড়াই লক্ষ তরুণীকে আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তার এখন চাইলেই স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ কিনতে পাবেন, তা দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং করে ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা ১ হাজার নারী উদ্যোক্তাকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছি। এবং এটি প্রতিবছর চলতে থাকবে। শি পাওয়ার এবং হার পাওয়ার প্রকল্পের মাধ্যমে দশ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে ১০০ টি হাইটেক পার্ক তৈরি করা হবে। নারীদের ফ্রিল্যান্সিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, এসইও, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মতো বিষয়ে আমরা প্রশিক্ষণ দিতে প্রস্তুত।
‘আজকের অনুষ্ঠানে আমার সামনে উপস্থিত নারীদেরকে বলতে চাই, আপনারা একেক জন লিডার। আপনারা আপনাদের আশেপাশের নারীদেরকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উচ্চ আয়ের দেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি, যার অগ্রগামী ভূমিকা পালন করবেন নারীরা’- যোগ করেন অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিভিন্ন খাতে সফল নারীদের সম্মাননা দেয় পপ অফ কালার। ১০ টি খাতে ১০ জন উদ্যমী নারীদের এই সম্মাননা দেওযা হয়। বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পপ অফ কালার এর প্রতিষ্ঠাতা টিঙ্কার জান্নাত মিম। আবৃতি ও সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে সন্ধ্যায় শেষ হয় দিনব্যাপী এই আয়োজন।
পপ অফ কালার এর আয়োজনে এই পশিয়ান কনফারেন্সের টাইটেল স্পন্সর স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড, কো-স্পন্সর বিবিবি এবং আমিশি, ইভেন্ট পার্টনার বি স্টাইলিস বাই মৌ, ভেলা এস্থেটিক, সাপোর্টেড বাই রেভে এক্সক্লুসিভ।
